র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ভারতের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

পুলিশের অভিজাত বাহিনী র‌্যাবের বিরুদ্ধে ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমান ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

র‌্যাবের লোগো

এবার নিষেধাজ্ঞার কবল থেকে র‌্যাবকে বের করে আনতে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আজ মঙ্গলবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিষয়টি ওয়াশিংটনের কাছে উত্থাপন করবে নয়াদিল্লি।

যুক্তরাষ্ট্রে ৪৫ লাখ ভারতীয় বসবাস করে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ভারতীয়রা যুক্তরাষ্ট্রে খুবই শক্তিশালী। তারাও জো বাইডেন প্রশাসনকে বিষয়টি বলেছে। এটি হয়েছে কেবল ভারত বাংলাদেশের বন্ধু দেশ বলে।

গত রোববারের সেমিনারে পিটার হাস ও এ কে আব্দুল মোমেন, ফাইল ছবি

‘সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ এবং জবাবদিহিতা’ ছাড়া র‌্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই বলে দুই দিন আগে জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ইতোমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারা যে দায়বদ্ধতার বিষয়টি বলেছে, সেই ম্যাকানিজম র‌্যাবের অভ্যন্তরে রয়েছে।

গত রোববার এক অনুষ্ঠানে আইন প্রয়োগের বিষয়ে সৎভাবে বলতে চান উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরো বলেছিলেন, র‌্যাবকে আমরা দেখতে চাই, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে যেমন কঠোর থাকবে, মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বজায় রাখতেও তেমনি কঠোর থাকবে। তবে জোরদার আইন প্রয়োগের বিষয়ে স্থাপিত শক্তিশালী নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে পারব না, নিষেধাজ্ঞার মানে সেটি নয়।

এদিকে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণপত্র বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের কাছে হস্তান্তর করতে তার এ সফর বলে জানানো হয়েছে।