এসএসসির রুটিন প্রকাশ, সঙ্গে ১৪ নির্দেশনা

চলতি ২০২২ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। আজ বুধবার, ২৭ এপ্রিল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক কমিটির বরাত দিয়ে এই রুটিন প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। রুটিন প্রকাশের পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের ১৪ দফা নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে।

এসএসসি পরীক্ষা, ফাইল ছবি

রুটিন অনুযায়ী, এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৯ জুন। এবারের এসএসসি পরীক্ষা বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হবে। আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত চলবে তত্ত্বীয় পরীক্ষা। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে নিতে হবে। সব পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বেলা ১২টায় শেষ হবে।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বুধবার, ২৭ এপ্রিল এসব তথ্য জানানো হয়। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষার্থীদের ১৪ দফা নির্দেশনা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো—

১. পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। ২. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। ৩. প্রথমে বহুনির্বাচনী পরীক্ষ এবং পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক তথা তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২০ মিনিট এবং সৃজনশীল পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।

৪. পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিন দিন পূর্বে পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে সংগ্রহ করবে। ৫. এনসিটিবি এর নির্দেশনা অনুসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সকল শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়সমূহ ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সাথে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রেরণ করবে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র।

৬. নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে পরীক্ষার্থীরা। উত্তরপত্র কোনো অবস্থাতেই ভাঁজ করা যাবে না। ৭. সৃজনশীল বা রচনামূলক তথা তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনী এবং ব্যবহারিক অংশে আলাদা আলাদাভাবে পাস করতে হবে পরীক্ষার্থীকে।

৮. শুধু নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয় বা বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে প্রত্যেক পরীক্ষার্থী। ভিন্ন বিষয়ের পরীক্ষায় কোনো অবস্থায় অংশগ্রহণ গ্রহণ করতে পারবে না কেউ। ৯. কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা— হোক সেটা সৃজনশীল, বহুনির্বাচনী বা ব্যবহারিক— নিজ বিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। আসন বিন্যাস করতে হবে পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে।

১০. পরীক্ষায় নন-প্রোগ্রামেবল সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে পরীক্ষার্থী। ১১. কোনো ব্যক্তি বা পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে মাত্র কেন্দ্র সচিব এই নিয়মের বাইরে থাকবেন।

১২. রচনামূলক, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে। ১৩. স্ব স্ব কেন্দ্ৰ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। ১৪. পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে।