‘আফগানিস্তানের ইসলামি সরকার নস্যাৎ করাই শত্রুদের টার্গেট’
- Details
- by ভিন্নমত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির আঞ্চলিক সহযোগীরা আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক হামলা ও বিস্ফোরণের জন্য দায়ী। তালেবান সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত গোয়েন্দা সংস্থাগুলোতে তাদের অস্তিত্ব না থাকলে এমন নৃশংসতা ঘটানো সম্ভব নয়। কারণ একমাত্র গোয়েন্দা নীতিই বেসামরিক নাগরিক এবং পবিত্র স্থান যেমন মসজিদ, স্কুল এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ওপর হামলার ন্যায্যতা দেয়। শত্রুদের টার্গেট ইসলামি সরকার ব্যবস্থা নস্যাৎ করা। কাবুল টাইমস।
তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যেকোনো অপরাধ বা বর্বরতার নজির সৃষ্টি করে। বিদেশি গোয়েন্দাচক্র সেই উদ্দেশ্য নিয়েই তাদের ফায়দা লুটছে। নির্বিশেষে শিকার যারাই হোক না কেন।
প্রকৃতপক্ষে একটি ইসলামি সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে অসহনীয়। আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত পৃথিবীর একমাত্র দেশ, যেখানে ইসলামিক আইন ও ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ করার দাবি করা হয়।
অধিকন্তু আফগানিস্তানের ইসলামিক জীবনধারা আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোকে চ্যালেঞ্জ করে এবং তাদের নিজেদের জনগণের সামনে তাদের নিজেদের অস্তিত্বকে সন্দেহের উদ্রেক করে। কারণ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো জনগণের ইচ্ছার পরিপন্থী নীতি আরোপ করে। ফলস্বরূপ প্রতিবেশী সরকারগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় আফগানিস্তানকে অস্থিতিশীল করে এবং এর অনন্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে।
আফগানিস্তান একটি কঠিন পর্যায়ে যাচ্ছে। প্রতিপক্ষ তালেবান সরকারের প্রচেষ্টাকে বদনাম করার দিকে মনোনিবেশ করছে। সম্ভব হলে তারা তালেবান সংগঠনের বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ ঘটাতে প্ররোচিত করছে।
ফলস্বরূপ, আফগানিস্তানে বিরোধী এবং খুনিদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করতে একত্রে কাজ করা দরকার। এ কাজ করা সরকার ও সাধারণ জনগণ উভয়েরই দায়িত্ব। সরকার ও জনগণের সহযোগিতা ছাড়া নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অর্জন করা সম্ভব নয়।
একটি উজ্জ্বল, আরও নিরাপদ এবং স্থিতিশীল ভবিষ্যতের জন্য সরকার এবং জনগণ নির্দয় শত্রুদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী লোহার প্রাচীর তৈরি করতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
লেখক: নাসরুল্লাহ হাকপাল, কাবুল টাইমস
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর