ঈদের আগে ৩ সাংবাদিককে মুক্তি দিল মিশর
- Details
- by গণমাধ্যম
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মিশরীয় কর্তৃপক্ষ তিন সাংবাদিককে মুক্তি দিয়েছে। দেশটির সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রধান হেড খালেদ এল-বাশি বলেছেন, সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির প্রশাসন ওই তিন জনকে মুক্তি দিয়েছে। আল জাজিরা।
ঈদের আগে তিন সাংবাদিককে মুক্তি দিল মিশর, ছবি- আল জাজিরা
মুক্তিপ্রাপ্ত তিন সাংবাদিক হলেন- আমের আবদেল-মোনেইম, হ্যানি গ্রেশা এবং এসাম আবদিন। পৃথক মামলায় প্রায় দেড় বছর আটক থাকার পর রোববার কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন তারা। সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রধান একটি ছবি পোস্ট করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে জেলের সাদা ইউনিফর্ম পরিহিত তিন সাংবাদিক সড়কে তাদের পরিবারকে আলিঙ্গন করছেন।
তাদের বিরুদ্ধে ইসলামিক রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডের পক্ষ নিয়ে সামাজিক মাধ্যম অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের জন্য তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ২০১৩ সালে মিশর ব্রাদারহুডকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে।
প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি, ছবি- আল জাজিরা
তিন সাংবাদিককে মুক্তির কয়েকদিন আগে কর্তৃপক্ষ ৪১ জন বন্দিকে মুক্ত করে। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট লেখক এবং রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন, যাদের বিনা বিচারে বন্দি করা হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিনা বিচারে দীর্ঘদিন আটক রাখার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।
প্রেসিডেন্ট সিসি অপরাধীদের ক্ষমা সংক্রান্ত একটি কমিটিকে পুনরায় সক্রিয় করেছেন এবং নতুন সদস্য নিয়োগ করেছেন। রাজনৈতিক অপরাধের জন্য আটক বন্দিদের মামলা পর্যালোচনার দায়িত্বে থাকা কমিটি ২০১৬ সালে তৈরি করা হয়েছিল। তবে তা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশিরভাগই অকার্যকর ছিল।
গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট সিসি ক্ষমার পর বিশিষ্ট রাজনৈতিক কর্মী হোসাম মনিসকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মনিস সন্ত্রাসের অভিযোগে চার বছরের সাজা ভোগ করছিলেন, যা অধিকার আইনজীবীরা ভিত্তিহীন বলে মনে করেন।
মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রথম ও মিশরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে উৎখাত করে ক্ষমতায় বসেন সিসি। তিনি ক্ষমতায় এসেই ব্রাদারহুডের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার তাদেরও ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাতে থাকেন। এরপর সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী তালিকায় রাখা হয়।
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর