উজবেক-আফগান সীমান্তে গোলাগুলি, দু’দেশেরই অস্বীকার

আফগানিস্তান-উজবেকিস্তান সীমান্তে প্রায়ই গোলাগুলি হয়। দু’দেশের সীমান্তরক্ষীরা নানা ইস্যুতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবারও উভয় দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের খবর চাউর হয়েছে স্যোসাল মিডিয়ায়। তবে উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উজবেক-আফগান সীমান্তে কথিত বন্দুকযুদ্ধের খবর অস্বীকার করেছে। একইভাবে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারও বিষয়টি স্বীকার করেনি। একেআই প্রেস।

উজবেক-আফগান সীমান্ত, ছবি-ভয়েস অব আমেরিকা

আফগানিস্তানের সাথে উজবেকিস্তানের সীমান্তে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্ত স্বাভাবিকভাবেই সুরক্ষিত রয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৪ মে উজবেক-আফগান সীমান্তে মারাত্মক বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। ঘটনাটি আফগান সূত্রে সামাজিক নেটওয়ার্কগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু তা বাস্তবতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

তালেবান-নেতৃত্বাধীন সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদও প্রতিবেদনগুলোকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেছেন। আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিভ্রান্তি ঠেকাতেই দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনা সত্য নয় জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করতে বাধ্য হয়।

উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আফগানিস্তান-উজবেকিস্তান সীমান্তের দৈর্ঘ্য ১৪৪ কিমি (৮৯ মাইল)। তুর্কমেনিস্তানের সাথে ট্রাইপয়েন্ট থেকে তাজিকিস্তানের সাথে আমু দরিয়া নদীর ত্রিপয়েন্ট পর্যন্ত সীমান্ত রয়েছে। পশ্চিমে তুর্কমেন ট্রিপয়েন্ট থেকে পূর্বে তাজিক ট্রিপয়েন্ট পর্যন্ত পুরো সীমান্তটি আমু দরিয়া নদীর থালওয়েগ পর্যন্ত বিস্তৃত।

সীমান্তটি একটি রাস্তা এবং রেললাইনের দ্বারা উজবেকিস্তানের দিকে সমান্তরাল এবং উজবেক শহরের টারমেজের পূর্বে একটি প্রধান ক্রসিং পয়েন্ট রয়েছে। উজবেকিস্তানের সাথে আফগানের ৩৮০-ভোল্ট বিদ্যুতায়িত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তজুড়ে ল্যান্ড মাইন এবং ভারী সশস্ত্র উজবেক সৈন্যদের একটি টহল সমন্বিত একটি প্রতিবন্ধক তৈরি করেছে।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে দু’দেশের সীমান্তে প্রায়ই উত্তেজনার খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে দু’দেশই সংবেদনশীল আচরণ করে আসছে। তালেবান উজবেক সরকারের কাছ থেকে আগে থেকেই নিজেদের নানা সুবিধা আদায় করতে সিদ্ধহস্ত। আফগানিস্তানের ক্ষমতায় তালেবান আসার আগে থেকেই তালেবানের সাথে উজবেকিস্তান সরকারের সুসম্পর্ক ছিল।