‘ইউক্রেন’কে ‘সাবেক’ বলছেন রুশ আইনপ্রণেতারা!

ইউক্রেনকে ‘সাবেক’ বলে অভিহিত করেছেন রাশিয়ার প্রভাবশালী একাধিক আইনপ্রণেতা। স্টেট দুমা চেয়ারম্যান ভাচেস্লাভ ভলোদিন ও ডেপুটি আরতেম তুরভ নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এমন মন্তব্য করছেন।

ইউক্রেনের অনেক এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ সেনাবাহিনী

সম্প্রতি ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ স্টেট দুমা ডেপুটি আরতেম তুরভের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা করেছে। এ নিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে দেওয়া পোস্টে ইউক্রেনকে ‘সাবেক’ বলে অভিহিত করেছেন তুরভ। ইউক্রেনীয় এফআইআরের একটি ছবি সংযুক্ত করে তুরভ লিখেছেন, সাবেক ইউক্রেনের ভূখণ্ডকে নাৎসিমুক্ত ও বেসামরিকীকরণে আমার সামান্য অংশগ্রহণকে স্বীকৃতি দেওয়ায় আপনাদের ধন্যবাদ।

দোনেস্ক ও লুহানস্ককে রাশিয়ার স্বীকৃতি দানের পেছনে বড় ভূমিকা পালন করেছেন আরতেম তুরভ। রুশ পার্লামেন্ট থেকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে পাঠানো এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটির অন্যতম প্রণেতা তিনি। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকে নিয়ে গঠিত কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্ট স্টেটস (সিআইএস), রুশ বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠী ও ইউরোশিয়ান সমন্বয় সংক্রান্ত দুমা কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান আরতেম তুরভ।

এদিকে রাশিয়ার স্টেট দুমা চেয়ারম্যান ভাচেস্লাভ ভলোদিন টেলিগ্রামে এক পোস্টে লিখেছেন, ইউক্রেনের ভেঙে যাবার প্রক্রিয়াটি ২০১৪ সালে ক্যুর পর থেকে শুরু হয়েছে। এটা এখন অনিবার্য হয়ে পড়েছে। ২০১৪ সালে কিয়েভে ক্যুর পর ক্রিমিয়া ইউক্রেন থেকে সরে স্বাধীনতার পথ বেছে নেয়। দোনেস্ক পিপলস রিপাবলিক ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক তখন স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

ভলোদিন আরও লেখেন, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে বসবাসরত অনেকে এখন পোল্যান্ড, হাঙ্গেরির নাগরিকত্ব নিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ৫০ লাখের বেশি মানুষ ওই দেশ ছেড়েছে। এগুলোর কোনোটাই স্থিতিশীলতার জন্য সহায়ক নয়। আমরা খেরসনসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিবৃতি শুনছি যে, তারা ইউক্রেনের অংশ হতে চায় না। এটাই বাস্তবতা।

এদিকে রাশিয়ান সরকারের আনুষ্ঠানিক কিছু বিবৃতির ভাষ্যেও ইউক্রেনের অখণ্ডতা অস্বীকার করতে দেখা যাচ্ছে। মারিওপোলের আজভস্টাল কারখানায় আটকে পড়া বেসামরিক লোকজনের জন্য মানবিক করিডর খোলার ঘোষণা দিয়ে বুধবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির এক জায়গায় বলা হয়েছে, ‘লোকজন নিজেদের পছন্দমতো রুশ ফেডারেশনের ভূখণ্ডে অথবা কিয়েভ কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় যেখানে ইচ্ছা যেতে পারবে।’

বিবৃতিতে স্পষ্টত: ইউক্রেনে রুশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাগুলোকে ‘রুশ ফেডারেশনের ভূখণ্ড’ বলা হয়েছে।