'সরকারের চেয়েও বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত ক্রিকেট বোর্ড'

চরম অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে দিন কাটছে শ্রীলঙ্কার। বৈদেশিক ঋণের জালে বন্দী হয়ে গেছে দেশটি। দুর্নীতির কালো থাবাও দেশটির অগ্রযাত্রা ব্যাহত করেছে। লঙ্কান সরকার এখন রীতিমতো পালিয়ে বাঁচার পথ খুঁজছে। তবে অর্জুনা রানাতুঙ্গা মনে করেন, শ্রীলঙ্কার সরকারের চেয়ে বেশি দুর্নীতিপরায়ণ সংস্থা রয়েছে দেশটিতে। তার মতে, দেশটির সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ সংস্থা হলো ক্রিকেট বোর্ড তথা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)।

অর্জুনা রানাতুঙ্গা

১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক রানাতুঙ্গা। তার পরে জয়াবর্ধনে-সাঙ্গাকারদের সময়ে লঙ্কান ক্রিকেট দারুণ ধারাবাহিকতা দেখিয়েছিল। ২০০৭ ও ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে রানার্সআপ হয়েছিল দেশটি। পরে ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা।

কিন্তু তারপর থেকে ভালো অবস্থানে নেই শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট। বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপ, এমনকি দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোতেও লঙ্কানদের আন্ডারডগ ধরা হয়। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের এমন পরিস্থিতির জন্য ক্রিকেট বোর্ডেও সীমাহীন দুর্নীতিকেই দায়ী করেছেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রানাতুঙ্গা।

ভারতের কর্ণাটকে অলিম্পিক ভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘(শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের) পুরো বিষয়টি হলো অব্যবস্থাপনার, অপেশাদারিত্বের। যার কারণে এই সংকট দেখা দিয়েছে। দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা ক্রিকেট বোর্ড।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা সবকিছু নষ্ট করে দিয়েছে। ক্রিকেট যারা চালাচ্ছে, সেখানে কোনো পেশাদার ব্যক্তি নেই। এটি সরকারের চেয়েও বাজে। ক্রিকেটে আমাদের অনেক ভালো খেলোয়াড় তৈরি হয়। কিন্তু তাদের ঠিকভাবে যত্ন নেওয়া হয় না। এটি অনেক বড় ইস্যু। ক্রিকেটের নির্বাচনে গেলে দেখবেন ১৪৩-১৪৪ ভোট আছে। সবগুলোই ঘুষের ওপর চলে।’

শ্রীলঙ্কান বোর্ডের দায়িত্ব ন্যস্ত থাকে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপর। কোনো ক্রীড়ামন্ত্রীর পদক্ষেপই মন ভরাতে পারেনি রানাতুঙ্গার। বরং হতাশা প্রকাশ করে সাবেক এ অধিনায়ক বলেছেন, ‘যারা ক্রিকেট পরিচালনা করছে ২০১৫ সালের পর সব গুবলেট পাকিয়ে ফেলেছে। আমি সবসময় ভাবতাম একজন যোগ্য ক্রীড়ামন্ত্রী এসে সবকিছু ঠিক করবেন। কিন্তু সবসময় চোর আসে এবং জায়গাটা দখল করে। অতীতে হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে।’