রাশিয়াকে জিততে না দেওয়ার অঙ্গীকার জি-৭ দেশগুলোর

শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংগঠন গ্রুপ অব সেভেন (জি৭) ইউক্রেনে রাশিয়াকে জিততে না দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। একইসঙ্গে দেশগুলো ইউক্রেনের পুনর্গঠনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। রোববার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে জি-৭ নেতারা এ অঙ্গীকার ও আশ্বাসের কথা বলেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপস্থিতিতে জি-৭ নেতারা ভিডিও কনফারেন্সে মিলিত হন

ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা, ইতালি, জাপান, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে গঠিত জোট জি-৭ নেতারা এ নিয়ে চলতি বছর তৃতীয় বারের মতো বৈঠকে মিলিত হলেন। বৈঠকে সাত দেশের নেতারা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধের সামর্থ্য কমাতে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষনা দেন।

বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, যারা প্রেসিডেন্ট (ভ্লাদিমির) পুতিনের যুদ্ধ প্রচেষ্টায় সহযোগিতা জোগান এবং রুশ জনগণের সম্পদ নষ্ট করেন, আমরা সেসব ধনী ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ অব্যাহত রাখব ও বৃদ্ধি করব।

যৌথ বিবৃতিতে নতুন করে নিষেধাজ্ঞার কথা বললেও এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ঘোষণা আসেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার রাশিয়ার উপর নতুন করে আরেকদফা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।

নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাশিয়ার ৩৩ জন কর্মকর্তা ও ২২টি কোম্পানির নাম রয়েছে। যুবেরু ব্যাংক, গ্যাজপ্রম ব্যাংক, মস্কো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ব্যাংকের বেশ কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তার পাশাপাশি রাশিয়ার নর্দার্ন শিপিং কোম্পানি ও ট্রান্সমরফ্লতের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার পতাকাবাহী ৬৯টি পণ্যবাহী নৌযানকেও নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চ্যানেল ওয়ান, রসিয়া-১ ও এনটিভির উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রাশিয়ার পদস্থ সামরিক কর্মকর্তারাসহ রাশিয়া ও বেলারুশের মোট ২ হাজার ৬০০ কর্মকর্তার জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

যৌথ বিবৃতিতে রাশিয়ার তেলের উপর নির্ভরতা ক্রমান্বয়ে শূন্যে নামিয়ে আনার অথবা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া বলা হয়েছে, জি-৭ দেশগুলো রাশিয়ার বিজয় ঠেকাতে নিজেদের অঙ্গীকারের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ।

এদিকে যৌথ বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার পার্লামেন্ট স্পিকার ভাচেস্লাভ ভলোদিন বলেছেন, জি-৭ নেতারা রাশিয়ার বিজয় ঠেকানোর যে অঙ্গীকারের কথা বলেছেন তা রাশিয়ার বিশেষ অভিযানের সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচনা করা যায়।