হঠাৎ ইউক্রেন সীমান্তে বেলারুশের সেনা মোতায়েন

ইউক্রেন সীমান্তে জরুরি ভিত্তিতে স্পেশাল অপারেশনস ফোর্স মোতায়েন করেছে বেলারুশ। মঙ্গলবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে।

দেশের পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তের দিকে সেনা মোতায়েন করছে বেলারুশ

বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জেনারেল স্টাফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী দক্ষিণ দিকে প্রায় ২০ হাজার সৈন্যের একটি বাহিনী সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি বেলারুশের দিক থেকে প্রতিক্রিয়ার দাবি রাখে।

বেলারুশের সশস্ত্র বাহিনীর অন্যান্য দলের পাশাপাশি কয়েকটি ব্যাটালিয়ন ট্যাকটিক্যাল গ্রুপ দেশের পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো প্রতিরক্ষা বাহিনীর শীর্ষ জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি সমর প্রস্তুতি, সামরিক সরঞ্জাম উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।

বৈঠকে প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত থেকে বেলারুশ শিক্ষা নিয়েছে। নিজেদের সেনাবাহিনীর উন্নয়ন ও অস্ত্রায়নের বিষয়ে আমরা শিখেছি। আমাদেরকে বুঝতে হবে, ঈশ্বর না করুন, যুদ্ধ বেঁধে গেলে বেলারুশে কি ধরনের যুদ্ধ হতে পারে, কি ধরনের অস্ত্র লাগবে। হঠাৎ প্রয়োজন দেখা দিলে নিজেদের কাছে থাকা অস্ত্র দিয়ে কিভাবে দেশের সুরক্ষা করব সে প্রস্তুতি রাখতে হবে।

তিনি বলেন, রাশিয়া বেলারুশকে মিসাইল তৈরিতে সাহায্য করবে। আমরা ইসকান্দার মিসাইলের একটি সংস্করণ তৈরি করতে চাই। এ ব্যাপারে দুই দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এরইমধ্যে সমঝোতা হয়েছে। বর্তমানে বেলারুশের কাছে থাকা রাশিয়ার এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ইসকান্দার মিসাইলগুলো রাখার বিষয়ে মস্কোর সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে বলেও লুকাশেঙ্কো জানান।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে আমি এ মর্মে একমত হয়েছি যে, আমরা আমাদের কাছে থাকা এস-৪০০ মিসাইলগুলো রেখে দিব। এসব মিসাইল মিনস্ক থেকে বার্লিন পর্যন্ত দেখে রাখবে। এস-৪০০ একটি ভালো ইকুইপমেন্ট। আমরা (রাশিয়ার) প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এ মর্মে সম্মত হয়েছি যে, তারা কালকে কয়েকটি দলকে প্রশিক্ষণ দেবে, যারা এ ইকুইপমেন্ট দেখভাল করবে।

এর আগে গত বুধবার যুদ্ধ-প্রস্তুতি মহড়া শুরু করে বেলারুশ। সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুতি পরীক্ষা করতে এ মহড়া চালানো হয় বলে জানায় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ সংক্রান্ত বিবৃতিতে বেলারুশের মন্ত্রণালয় জানায়, দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে অচেনা জায়গায় কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা যাচাইয়ে এ মহড়াকে কাজে লাগানো হবে।