রাশিয়ার ওপর চাপ-নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখতে চায় ব্রিটেন

ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছেন, ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠানো এবং রুশ সরকারের ওপর চাপ বাড়ানো জরুরি। এই সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমরা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের উপর চাপ ও নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখে ইউক্রেনে আরও অস্ত্র সরবরাহ করব। স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এই সংকটের সময় জি-৭ দেশগুলোর ঐক্য অত্যাবশ্যক এবং আমরা একসাথে কাজ চালিয়ে যাব। শুক্রবার জার্মানি জি-৭ গ্রুপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস

সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি অফ স্টেট ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড ওয়েইসেনহাউস দেশটির প্রতিনিধিত্ব করছেন। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

কি আলোচনা হতে পারে: দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য শুক্রবার জার্মানিতে মিলিত হয়েছেন জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তাদের একটাই রক্ষ্য রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা প্রদান। আগামীকাল শনিবার দুদিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ দিন।

ডয়েচে ভেলের প্রধান আন্তর্জাতিক সংবাদদাতা রিচার্ড ওয়াকার বলছেন, জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইউক্রেনের বন্দরে অবরুদ্ধ লক্ষাধিক টন শস্যের কারণে সৃষ্ট খাদ্য সংকট মোকাবেলার চেষ্টা করবেন। মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে জরুরিভাবে শস্য রপ্তানির প্রয়োজন।

তিনি বলেন, জি-৭ নেতারা ইউক্রেন থেকে অন্যান্য রুট দিয়ে খাদ্যশস্য সরবরাহ লাইন ঠিক রাখার চেষ্টা করছেন। তারা চাচ্ছেন, ইউক্রেনের রপ্তানি স্বাভাবিক রাখতে। সমুদ্রপথের পাশাপাশি রেল ও সড়কপথে রপ্তানি প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছেন নেতারা। তবে তারা কতটা অগ্রগতি করতে পারবেন সে বিষয়টি অস্পষ্ট।

এদিকে খাদ্য সংকটের জন্য আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করেছে রাশিয়া। অন্যদিকে পশ্চিমা দেশগুলো বলেছে, রাশিয়া ইউক্রেনের বন্দর অবরোধ করে খাদ্যশস্যবাহী ট্রেন অন্য দেশে ঢুকতে দিচ্ছে না।

চীন-রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হবে। জি-২০ গ্রুপের সভাপতি হিসেবে বৈঠকে যোগ দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া।