রাশিয়া-ইউক্রেন: মধ্যস্থতাকারী হবে না ইইউ, আলোচনায় তুরস্ক

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংলাপে মধ্যস্থতার কোনো আগ্রহ ইইউর নেই। এ বিষয়ে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুরস্ক ভালো অবস্থানে আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল ফন্তেলেস

জার্মান দৈনিক ফ্রাঙ্কফুর্টার আলেমাইনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জোসেপ বোরেল বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে ইইউ আগ্রহী নয়। কারণ আমরা মধ্যস্ততকারী হলে রাশিয়া মানবে না, ঠিক যেভাবে তারা মধ্যস্ততাকারী হলে আমরা মানতে চাইব না।

এক্ষেত্রে চীন মধ্যস্থতা করতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা সম্ভব নয়। চীন রাশিয়ার দিকে স্পষ্টতঃ ঝুঁকে আছে। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুরস্ক ভালো অবস্থানে আছে। আলোচনা এগিয়ে নিতে তুরস্ক দারুণ ভূমিকা রেখেছে। উভয় পক্ষের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো। যদিও এটা ঠিক যে জাতিসংঘ মধ্যস্থতাকারী হলে সবচেয়ে ভালো হয়।

ইইউর প্রধান কূটনীতিক আরও বলেন, এ মুহূর্তে আলোচনায় কাজ হবে না। আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ থামে ঠিকই কিন্তু সেজন্য শক্তির জায়গা থেকে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে। এখন ইউক্রেনকে তেমন অবস্থানে নেওয়াই কাজ।

ইউক্রেনকে ইইউ অতিরিক্ত ৫২১ মিলিয়ন ডলারের (৫০ কোটি ইউরো) সামরিক সহযোগিতা দিতে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ট্যাঙ্ক, কামান ও ভারী অস্ত্র কেনার জন্য এ অর্থ দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে ইউক্রেনের জন্য ইইউর সহায়তার পরিমাণ ২০০ ইউরোতে উন্নীত হলো।

ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখার পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করলে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে, এমনটা ভাবার কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছিনা। যারা ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাদের আমি প্রশ্ন করতে চাই, যুদ্ধ কিভাবে থামে তাতে আসলেই কি কিছু আসে যায়? আপনারা কি এটাই চান যে ইউক্রেনীয়রা রুশদের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হোক?