শ্রীলঙ্কার জন্য আন্তর্জাতিক ফোরাম চান রনিল

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনে কলম্বোয় নিযুক্ত কয়েকজন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। এসব বৈঠকে তিনি দেশের আর্থিক সংকট নিরসনে একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।

গ্যাসের দাবিতে কলম্বোর বেসলাইন রোডের একাংশ অবরোধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা

নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের রাষ্ট্রদূতরা দিনের বিভিন্ন সময়ে টেম্পল ট্রিতে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে সংকট নিরসনে শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক সহায়তা জোগাতে একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম গঠনের প্রস্তাব দিলে রাষ্ট্রদূতরা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানান।

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, জাপানের রাষ্ট্রদূত মিজুকোশি হিদেকি প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বিষয়টি আলোচনা করতে আগামীকাল জাপানের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন বলে জানিয়েছেন।

এছাড়া নতুন প্রধানমন্ত্রী নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের সংকট নিরসনে তার দলের কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছেন। সাবেক মন্ত্রী ভাজিরা আবেবর্ধনে ও পালিথা রাঙ্গা বান্দেরাকে বাজারে যাতে খাদ্য পণ্যের সরবরাহ সংকট না থাকে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

একইভাবে সাবেক মন্ত্রী সাগালা রত্নানায়েকে জ্বালানি সরবরাহ সমস্যা নিরসনের দায়িত্ব পেয়েছেন। সাবেক মন্ত্রী রুয়ান বিজয়বর্ধনেকে ওষুধের সরবরাহ সংকট নিরসনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিটির আরেক সদস্য আকিলা বিরাজ কারিওয়াসামকে সার সংকটের বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।

এর আগে জ্বালানি গ্যাসের দাবিতে আজ দিনভর কলম্বোর ব্যস্ততম কয়েকটি সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল শ্রীলঙ্কানরা। বিক্ষোভের কারণে কলম্বো-নিগম্ব মহাসড়কেও যান চলাচল বন্ধ ছিল।

এদিকে শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলগুলো রনিল বিক্রমাসিংহের নেতৃত্বাধীন সরকারে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ অবস্থায় কেবলমাত্র ক্ষমতাসীন দল এসএলপিপির সমর্থন নিয়েই রনিল বিক্রমাসিংহেকে কাজ করতে হবে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের প্রশ্ন এলে তামিল জোটের এমপিরা রনিল বিক্রমাসিংহেকে সমর্থন দিতে পারেন।

বিরোধী দলীয় নেতা ও এসজেবি প্রধান সাজিথ প্রেমাদাসা সাংবাদিকদের বলেছেন, রনিল বিক্রমাসিংহের মন্ত্রিসভায় যোগদানের জন্য দলের মনোনীতদের নাম চেয়ে প্রেসিডেন্ট গোতাবি রাজাপাকসে গতকাল তাকে চিঠি লিখেছেন। তবে এসজেবির কেউ এই মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে না।

একই কথা জানিয়ে শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা বলেছেন, শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির (এসএলএফপি) কেন্দ্রীয় কমিটি নতুন সরকারে কোনো দপ্তর না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া বিগত সরকারের আমলে বিরোধী দলে থাকা ১০-দলীয় জোটের নেতারা পার্লামেন্টে স্বতন্ত্র গ্রুপ হিসেবে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বীমল বীরাবংসে এমপি।