মন্দার মধ্যেও আশার কথা শোনাল সৌদি আরব

বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও সৌদি আরব চলতি বছর ৭.৪ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আশা করছে। সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে বক্তৃতাকালে দেশটির অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জাদান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ মুদ্রাস্ফীতি ২.১ থেকে ২.৩ শতাংশের মধ্যে থাকবে। তেলের দাম ৭০ ডলার ছাড়ালেও পেট্রোলের দামের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করছে বলে তিনি জানান দেন। রয়টার্স।

মোহাম্মদ আল-জাদান

সৌদি অর্থমন্ত্রী বলেন, গত বছরের শেষের দিকে আমরা পেট্রোলের মূল্য বৃদ্ধি ৭০ ডলার ফ্রিজ করেছিলাম (অভ্যন্তরীণ)। সুতরাং ৭০ ডলারের বেশি হলে অর্থনীতিতে তা তেমন আঘাত করবে না। পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডে (পিআইএফ) আরও তহবিল স্থানান্তর করার কোনো তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা নেই।

পিআইএফ ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সম্পদ নিয়ে পরিচালনা হচ্ছে, দুই বছরে এর পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে পিআইএফ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলার প্রণোদনা পেয়েছে, যা অস্বাভাবিক ভিত্তিতে করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরব তেল জায়ান্ট সৌদি আরামকোর ৪ শতাংশ শেয়ার পিআইএফে স্থানান্তর করেছে, যারা মূল্যমান ৯২ বিলিয়ন ডলারের সমান। সৌদি আরব আগামী বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে চলতি বছরের প্রত্যাশিত উদ্বৃত্ত যোগ করতে পারবে, যা অর্থনীতিতে সবচেয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। জাতীয় উন্নয়ন তহবিলসহ বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকেও বাড়িয়ে দেবে।

জাদান বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। পিআইএফ-এর সাথে বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। কারণ তারা খুব ভাল চুক্তি করছে এবং সৌদির অভ্যন্তরে ও বাইরে খুব ভালো করছে।

বৈদেশিক রিজার্ভ বাড়ানো দরকার কিনা তাও বিবেচনায় রাখা হবে বলে তিনি জানান।

দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সম্মেলনে বৈশ্বিক ব্যবসায়ী নেতারা মিলিত হয়েছেন। সম্মেলনে ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্তের প্রত্যাশা করছে ইউক্রেন। সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষণের মাধ্যমে সম্মেলন উদ্বোধন হয়। তবে এতে রাশিয়ার কোনো কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছে না।