ল্যাভরভ: মস্কো-বেইজিং সম্পর্ক আরও গভীর হবে

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, মস্কো বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করবে। একইসাথে পশ্চিমাদের সাথে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের প্রস্তাব বিবেচনা করবে রাশিয়া। তবে এটি প্রয়োজন কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। গতকাল সোমবার রয়টার্সকে তিনি এসব কথা বলেন। দ্য উইক। 

ল্যাভরভ

ল্যাভরভ বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে চাইলে আমরা তা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করব। এখন যেহেতু পশ্চিমা দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পাশে অবস্থান নিয়েছে, সেহেতু চীনের সাথে আমরা অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও দ্রুত বৃদ্ধি করব।

ল্যাভরভ বলছেন, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে পশ্চিমারা 'রুশোফোবিয়া'কে সমর্থন করছে। এরই মধ্যে ইউক্রেনে আরও উন্নত অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমরা শুধু 'নির্ভরযোগ্য' দেশ থেকে আমদানি করব। রাশিয়া পশ্চিমা দেশগুলো থেকে যেসব পণ্য আমদানি করত তা এখন অন্য দেশ থেকে করা হবে।

ল্যাভরভ বলেন, চীনের কাছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রয়েছে, যা পশ্চিমের থেকে কোনোভাবেই মন্দ নয়। দুদেশের মধ্যে বড় চুক্তি হবে, যা পারস্পরিক সুবিধা নিশ্চিত করবে। আমাদের পশ্চিমা অংশীদাররা বারবার প্রমাণ করেছে তারা আলোচনায় বসতে অক্ষম।

ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার খড়্গ নেমে আসে। এরমধ্যে ব্যাংকিং খাত অন্যতম। রাশিয়ার গ্রাহকরা এখন সুইফট ব্যবস্থায় টাকা ট্রান্সফার কিংবা রিসিভ করতে পারে না।

রাশিয়ার সঙ্গে বিরোধিতায় পরিপূর্ণভাবে সহায়তা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারাও বিভিন্ন খাতে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করেছে। সর্বশেষ রাশিয়ার বিরুদ্ধে তেল নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। তবে রাশিয়ার গ্যাসে ইউরোপের নির্ভরতার সুযোগে রাশিয়াও পাল্টা ব্যবস্থা নিতে শুরু করে। এতে পুরো বিশ্ব জ্বালানি সংকটময় অবস্থা পার করছে। বেড়ে গেছে দাম।