লিটন: সমালোচনা হবেই, সবাই চায় আমি পারফর্ম করি

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় চক্রের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এখন লিটন দাস। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তো শীর্ষেই আছেন তিনি। গত দেড় বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেটে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন লিটন। কিপিংটা করেন বলেই তাকে পাঠানো হয় সাত নম্বরে। টেস্টে এখন সাত নম্বরের বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান তাকে বলাই যায়।

লিটন: সমালোচনা হবেই, সবাই চায় আমি পারফর্ম করি

চট্টগ্রামে ১২ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন। মিরপুরে সেই ভুল করেননি। ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লিটন। মঙ্গলবার আউট হওয়ার আগে ১৪১ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। যা তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

যদিও সমালোচনায় ভেসে যাওয়ার কঠিন সময় তাকে পার হতে হয়েছে। সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়েছেন অনেকবার এবং সেটি ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হয়েছেন বলেই। লিটন অবশ্য এসব ইতিবাচক হিসেবেই নিয়েছেন। মঙ্গলবার দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মানুষ তার কাছে পারফরম্যান্স দেখতে চায়। আর সেটা না দেখলেই সমালোচনা করে এবং তা স্বাভাবিকই বটে।

লিটন বলেন, ‘সমালোচনা হবেই। জীবন যেহেতু ক্রিকেটের সাথে জড়িয়ে গেছে, ভালো খেললে আপনারা বাহবা দেবেন, জনগণ বাহবা দেবে, খারাপ খেললে উল্টোটা করবে। কারণ তারা চায় আমি পারফর্ম করি। এই জিনিসটা আমার ওপর এখন আর প্রভাব পড়ে না। আমি প্র্যাকটিসে কতটা মনোযোগী, প্র্যাকটিস মেথড কী, সেই প্রসেস অনুসরণ করছি কিনা, অনুসরণ না করলে আমি নিজের কাছে নিজেই দোষী। ফলাফল ওপরওয়ালার হাতে।’

ব্যাট হাতে সবসময় পারফর্ম করার চেষ্টা করেন লিটন। তার মতে, ক্যারিয়ারে সাফল্য-ব্যর্থতা চক্রাকারে আসবেই, ‘চেষ্টা তো সবসময় করি। কিছু সময় সফল হই কখনও ব্যর্থ হই। এটাই ক্রিকেট, এভাবেই চলতে থাকবে। আজকে ভালো করছি, কাল খারাপ হতেই পারে। এটাই জীবন। এটা মেনেই চলতে হবে।’

আগের চেয়ে মানসিকভাবে লিটন এখন অনেক পরিণত। যা তার ব্যাটিংয়েও প্রভাব রেখেছে, ধারাবাহিকতা বেড়েছে। আর ব্যর্থতা থেকেই নাকি মানসিকভাবে এমন শক্ত হওয়ার রসদ পেয়েছেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান।

তিনি বলেন, ‘মানসিক দৃঢ়তা আসলে ব্যর্থতা থেকেই আস্তে আস্তে মাথায় চলে আসে। ওখান থেকে উন্নতি করে। আপনি ব্যর্থ না হলে বুঝবেন না আপনার মানসিকতা কোন দিকে যাচ্ছে।’