দিল্লীর বিশ্বমিল সাংস্কৃতিক উৎসবে ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশন (ডুমা) মূকাভিনয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দিল্লীতে অবস্থিত ও. পি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির আয়োজনে আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসবে গতকাল ওই চ্যাম্পিয়নশীপ অর্জন করে সংগঠনটি।

mime du

ও. পি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির উদ্যেগে এ বছর তৃতীয়বারের মত আয়োজন করা হয় বিশ্ব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান 'বিশ্বমিল' এর। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে থেকে আসা জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মোট ৫৮টি দল কে পিছনে ফেলে মূকাভিনয়ে প্রথম হয় বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ঢাকা ইউনিভার্সিটির মাইম অ্যাকশন।

তরুণ মূকাভিনেতা মীর লোকমানের রচনা ও পরিচালনায় 'সর্ব রোগের মহাচিকিৎসক’ নামের ঐ মাইমোড্রামাটিতে অংশ নিয়েছেন শাহরিয়ার শাওন, খায়রুল বাসার রেজভী, সানোয়ারুল হক, ফরিদ উদ্দীন, সাইফুল্লাহ সাদেক, রায়হান বাসার ভুইয়া ও কামরুন্নাহার মৌসুমী। সম্মিলিত মাইমোড্রামা ছাড়াও ডুমা সদস্যরা তাদের জনপ্রিয় ‘লাইট ভার্সেস ডার্কনেস’ মাইমোড্রামাটির পঞ্চম প্রদর্শনী করেেছে ওই উৎসবে।

গত শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) থেকে তিন দিন ব্যাপি ওই সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হয়েছে। আজ ১৬ অক্টোবর (রোববার) আন্তর্জাতিক এই সাংস্কৃতিক উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যদিকে জিন্দালের বিশ্বমিল উৎসবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ডুমা টিমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচর্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। আগামী ২০ অক্টোবর ১৫ সদস্যের ওই দলটি দেশে ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করা ডুমা তাদের মূকাভিনয় দিয়ে শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নয় পুরো দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা কুঁড়িয়েছে। ‘না বলা কথাগুলো না বলেই হোক বলা' স্লোগানকে ধারণ করে এই মূকাভিনয় দলটি তাদের ‘লাইট ভার্সেস ডার্কনেস’ নামের মাইমোড্রামাটি প্রদর্শন করে মূকাভিনয় জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। এছাড়া গত পাঁচ বছরে দেশের মাটিতে ৩০০টির অধিক দলীয় এবং একক মূকাভিনয় প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের প্রধান মূকাভিনয় সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আপিনি আরো পড়তে পারেন

ফরিদপুরের কাউন্সিলর হলেন সায়মা ও তার স্বামী

রোববার রাতে শেখ হাসিনা-মোদীর বৈঠক

যে কারণে চীনের রাষ্ট্রপতির সাক্ষাত পেলেন না রওশন এরশাদ

অর্থমন্ত্রী: ১২০ কোটি ডলার মঞ্জুরি সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী: বিদেশিদের কাছে কান্নাকাটি করে লাভ নেই