চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের ভেন্যু ‘স্তাদে দে ফ্রান্স’র টুকিটাকি

গ্রুপ পর্ব এবং নকআউট শেষে আজ মাঠে গড়াচ্ছে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল ম্যাচ। বাংলাদেশ সময় রাত একটায় শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ-লিভারপুল। ম্যাচের ভেন্যু স্তাদে দে ফ্রান্স। যদিও ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল রাশিয়ায়। কিন্তু ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধে জড়ালে রাশিয়া থেকে ভেন্যু সরিয়ে প্যারিসে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় উয়েফা।

স্তাদে দে ফ্রান্স

স্তাদে দে ফ্রান্স রাজধানী প্যারিস থেকে দুই মাইল উত্তরে সেন্ট ডেনিসে অবস্থিত। প্যারিস থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্রেন, মেট্রোরেলে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে। ১৯৯২ সালে দেশটির জাতীয় স্টেডিয়ামের পরিকল্পনা থেকে নির্মাণ করা হয় ভেন্যুটি। একসঙ্গে ৮০ হাজার ৬৯৮ জন মানুষ ভেন্যুটিতে বসে খেলা উপভোগ করতে পারে।

আয়তনে ইউরোপের সপ্তম বৃহত্তম স্টেডিয়াম স্তাদে দে ফ্রান্স। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৯৫ সালে। ১৯৯৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ফ্রান্স এবং স্পেনের মধ্যকার প্রীতিম্যাচ দিয়ে ভেন্যুটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। সে ম্যাচে একমাত্র গোলটি করেন কিংবদন্তি ফুটবলার এবং রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক কোচ জিনেদিন জিদান।

রাতে এই মাঠেই মুখোমুখি হবে লিভারপুল এবং রিয়াল মাদ্রিদ

১৯৯৮ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ছিল ফ্রান্স। বিশ্বমঞ্চের সেবারের আসরে স্তাদে দে ফ্রান্সে নয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। যার মধ্যে ব্রাজিল এবং স্বাগতিকদের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচটি উল্লেখযোগ্য। যে ম্যাচে লাটিন আমেরিকার জায়ান্টদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব জয়ের স্বাদ নিয়েছিল ফ্রান্স।

ভেন্যুটির পরিচালনার দায়িত্বে আছে কনসোর্টিয়াম স্তাদে দে ফ্রান্স। জাতীয় স্টেডিয়াম হওয়ায় স্তাদে দে ফ্রান্সে ফুটবল ছাড়াও রাগবি, বিভিন্ন অ্যাথলেটিক ইভেন্ট এবং কনসার্ট আয়োজন করা হয়। ২০০৩ সালে অ্যাথলেটিক্সে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের পাশাপাশি ১৯৯৯ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত মিটিং আরেভা অ্যাথলেটিক্স মিট আয়োজন করা হয়েছিল। এছাড়া ২০০৪, ২০০৫ এবং ২০০৬ সালে এই স্টেডিয়ামে রেস অফ চ্যাম্পিয়ন্স অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রুনো মার্স, রিহানা, এমিনেম, কোল্ডপ্লে এবং আরও অনেক সুপারস্টাররা এখানে কনসার্ট পারফর্ম করে গেছেন। দর্শনার্থীদের জন্য সপ্তাহের প্রায় সময়ই খোলা থাকে স্তাদে দে ফ্রান্স। এ জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়।