প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ঝড়ো কূটনীতি

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ছোট রাষ্ট্র সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে গত মাসে চীনের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের পর যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার সরকারপ্রধানরা চীন সেখানে ঘাঁটি করবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তাদের এই উদ্বেগের মধ্যেই ওই অঞ্চলের আটটি দেশের সঙ্গে এক গুচ্ছ চুক্তি করতে চলেছে চীন।

১০-দিনের টানা সফরে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আটটি দেশে যাবেন

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ঈ বলেছেন, চীন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর ও বিস্তৃত করতে চায়। একইসঙ্গে আমরা উন্নয়নের সুবিধাগুলো সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চাই। ফিজিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর জোট প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হেনরি পুনার সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ১০ দিনের সফরের চতুর্থ পর্বে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে ফিজিতে অবস্থান করছেন। এর আগে তিনি সলোমন আইল্যান্ডস, কিরিবাতি ও সামোয়া সফর করেছেন। ফিজি থেকে তিনি টোঙ্গা, ভানুয়াতু, পাপুয়া নিউ গিনি ও পূর্ব তিমুর যাবেন।

ফিজিতে অবস্থানকালে ওয়াং ঈ চীনের সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করবেন। দ্বিতীয়বারের মতো এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

হেনরি পুনার সঙ্গে বৈঠকে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সবচেয়ে প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরাম। চীন এ ফোরামের সঙ্গে সংলাপ ও পারস্পরিক আস্থা জোরদার এবং সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।

তিনি বলেন, চীনের অর্থনীতি ভীষণ রকম তেজি। মাঝে মাঝে কোভিড প্রাদুর্ভাব চীনের উন্নয়ন থামাতে পারবে না। আমরা চাই দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর আরও পণ্য চীনের বাজারে প্রবেশ করুক।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজের ১০ দিনের সফরকে শান্তি, মৈত্রী ও সহযোগিতার ট্যুর অভিহিত করে তিনি বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সাম্য, উদারতা ও অন্তর্ভুক্তির নীতির ভিত্তিতে চীন এখানকার দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধন জোরদার করতে চায়।

এর আগে বৃহষ্পতিবার সলোমন আইল্যান্ডস সফরকালে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তি কোনো তৃতীয় রাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে হয়নি। চীনের এখানে কোনো ঘাঁটি করার পরিকল্পনাও নেই। এ চুক্তি সলোমন দ্বীপপুঞ্জকে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় এবং এখানে চীনের নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করবে।