বিদ্যুৎ বাণিজ্য জোরদার করবে ইউরেশিয়ার পাঁচ দেশ

ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটির (ইএইইউ) দেশগুলো নিজেদের মধ্যে বিদ্যুৎ বাণিজ্য জোরদারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাশিয়া ও বেলারুশ কমিউনিটির সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ লেনদেন দেখভাল করবে।

বৈশ্বিক অর্থনীতির ইঞ্জিন বলে দাবিদার দেশগুলো মূল্যস্ফীতিতে হাবুডুবু খাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন পুতিন

কিরগিজস্তানের বিশকেকে অনুষ্ঠিত ইএইইউ সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর জ্বালানি মন্ত্রীরা ইউরেশিয়া অঞ্চলে বিদ্যুৎ প্রবাহ জোরদার ও লেনদেন সহজীকরণে বেশকিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। ইউরেশিয়ার পাঁচ দেশের অভিন্ন বিদ্যুৎ বাজারে এখন থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে লেনদেন তদারকে একমত হয়েছেন তারা।

গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীভূত লেনদেন ব্যবস্থায় রাশিয়া ও বেলারুশ কিউরেটরের ভূমিকা পালন করবে। এ লক্ষ্যে বেলারুশে বেশ কয়েকটি মাইক্রোইলেকট্রনিকস প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। রাশিয়া সরকার এ প্রকল্পগুলোতে অর্থায়ন করবে।

জানা গেছে, ইউরেশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ কেনাবেচার ফিউচারস কন্টাক্ট তিনটি এক্সচেঞ্জে ট্রেডিং হবে। এগুলো হচ্ছে- কাজাখ ইলেকট্রিসিটি অ্যান্ড ক্যাপাসিটি মার্কেট, সেইন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল কমোডিটি অ্যান্ড র ম্যাটেরিয়ালস এক্সচেঞ্জ ও বেলারুশিয়ান ইউনিভার্সাল কমোডিটি এক্সচেঞ্জ।

ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটির সদস্য দেশের মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, কাজাখস্তান, বেলারুশ, আর্মেনিয়া ও কিরগিজস্তান। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইএইইউ শীর্ষ সম্মেলনে বক্তারা পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে নিজেদের সামর্থ্যের পূর্ণ সদ্ব্যবহারের উপর জোরারোপ করেছেন।

সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির ইঞ্জিন বলে দাবিদার দেশগুলো রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নিজেরাই চরম মূল্যস্ফীতির কবলে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। ৪০ বছরে এমন ভয়াবহ মূল্যস্ফীতি দেখা যায়নি। তাদের এসব নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতিকে শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ এনে দিয়েছে।

সাংহাই কোঅপারেশন অরগানাইজেশনের (এসসিও) মহাসচিব ঝাং মিং বলেন, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অর্থনীতিতে গুরুতর প্রভাব ফেলেছে কোভিড মহামারি। সেটা কাটিয়ে ওঠার আগেই এখন আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে গভীর পরিবর্তন সূচিত হচ্ছে। এ অবস্থায় নিজেদের শক্তিগুলো সংঘবদ্ধ করে দুই জোটের সামর্থ্যরে পূর্ণ সদ্ব্যবহার করা খুব জরুরি।