পাত্তাই পেলো না ইতালি, ফাইনালিসিমা জিতল আর্জেন্টিনা

গত দুই বছর ধরে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আর্জেন্টিনা ফাইনালিসিমাতেও দেখাল নিজেদের সেরা ফুটবল প্রদর্শনী। ইতালিকে কোনো রকম পাত্তা না দিয়ে চ্যাম্পিয়নদের চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়েও অনন্য পারফরম্যান্স উপহার দিল আলবিসেলেস্তেরা। রবার্তো মানচিনির দলকে ৩-০ ব্যবধানে গুড়িয়ে দিয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার পরাশক্তিরা।

শিরোপা হাতে আর্জেন্টিনা

আর্জেন্টিনার কাছে হারায় সাম্প্রতিক সময়ের দুর্দশা থেকে বের হতে পারল না ইতালি। আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাঁছাইপর্ব থেকে বিদায়ের পর প্লে অফের বাধাও অতিক্রম করতে পারেনি চারবারের শিরোপাধারীরা। টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বমঞ্চে দর্শক হয়ে থাকতে হবে দলটিকে।

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নদের লড়াইয়ের শিরোপা জিতল আর্জেন্টিনা। এর আগে ১৯৯৩ সালে ডেনমার্ককে পরাজিত করে এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

পাত্তা পেলো না ইতালি, ফাইনালিসিমা জিতল আর্জেন্টিনা

লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য দেখিয়েছে আর্জেন্টিনা। এই সময় বল দখল এবং আক্রমণে এগিয়ে ছিল লিওনেল স্ক্যালোনির শিষ্যরা। ইতালিও পেয়েছিল বেশ কয়েকটি সুযোগ। নিজেদের ফিনিশিংয়ের দsর্বলতা এবং প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের অসাধারণ দৃঢতার কারণে গোলমুখ খুলতে পারেনি আজ্জুরিরা।

প্রথমার্ধে দুইবার ইতালির জালে বল পাঠায় আর্জেন্টিনা। ২৮তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে লিওনেল মেসির ক্রস ছয় গজ বক্সে পেয়ে আলতো টোকায় দলকে এগিয়ে নেন লাউতারো মার্টিনেজ। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ফের দলকে উল্লাসে ভাসান অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। দারুণ দক্ষতায় ইতালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মাকে বোকা বানান প্যারিস সেন্ট জার্মেইন, পিএসজির সাবেক ফরোয়ার্ড।

বিরতির পর আরও জ্বলে উঠে আর্জেন্টিনা। মেসি, মার্টিনেজ, ডি মারিয়াদের উপর্যুপরি সব আক্রমণ ঠেকাতেই ব্যস্ত ছিল ইতালি। অসংখ্য সুযোগ নষ্টের ভীড়ে কোনভাবেই ব্যবধান বাড়াতে পারছিল না আর্জেন্টিনা। অবশেষে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে জালে বল পাঠান বদলি নামা পাওলো দিবালা। বিশাল জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মেসির আর্জেন্টিনা।