ইউক্রেন সফর নিয়ে চাপের মুখে ম্যাক্রন

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন ইউক্রেনে কেনো সফর করছেন না- এমন প্রশ্নের মুখে বিবৃতবোধ করছেন। কয়েক মাস ধরে তিনি এ প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেনে এখনও সফর করেনি তিনি। সমালোচকরা মনে করে, ইউক্রেন সফর না করা তার জন্য বেমানান। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ম্যাক্রন

ফরাসি প্রেসিডেন্ট উত্তর ফ্রান্সে সাংবাদিকদের বলেন, আমি সবসময় একই কথা বলেছি। একটি সময় আসবে আমি ইউক্রেনে সফর করব। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিক থেকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ব্যক্তিগতভাবে অভিবাদন জানাতে পশ্চিমা নেতারা ইউক্রেনে সফর শুরু করেন। অন্যদের কিয়েভে যাওয়া দেখে ম্যাক্রন নিজেই কিয়েভে যাবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এরপর থেকে তিনি বারবার প্রশ্নটির সম্মুখীন হচ্ছেন।

ইউক্রেনে ভাড়াটে সৈন্যের সংখ্যা অর্ধেকে নেমেছে

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনে বিদেশি ভাড়াটে সৈন্যের সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমেছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ভাড়াটে সেনা ৬ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ তে নেমে এসেছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ মস্কোতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, মে মাসের শুরু থেকে ভাড়াটেরা ইউক্রেনে আসা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। নিম্নস্তরের প্রশিক্ষণ এবং যুদ্ধের অভিজ্ঞতার অভাবের কারণে বিদেশি যোদ্ধারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন রুশ অভিযান ঠেকাতে পারবে না

ক্রেমলিন জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে চারটি এককিউ-১সি গ্রে ঈগল ড্রোন বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে। যা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত হতে পারে। তবে মস্কো এতে ভীত নয়। যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন পুতিনের ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’র প্যারামিটারে কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক ফোন সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেছেন, ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্র মোতায়েন রাশিয়ার বিশেষ অভিযানে পরিবর্তন ঘটাতে পারবে না। রাশিয়ার লক্ষ্য অর্জিত হবে, কিন্তু ইউক্রেনের জন্য আরও দুর্ভোগ নিয়ে আসবে।