মস্কো: পশ্চিমাদের চাপেই আলোচনা চালাতে পারে না ইউক্রেন

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ দাবি করেছেন, ইউক্রেন চাইলেও পশ্চিমারা তাদেরকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার অনুমতি দেয় না। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে পশ্চিমারা ইউক্রেনকে ব্যবহার করছে রাশিয়াকে ক্লান্ত ও সংযত করার জন্য।
খবর আনাদোলু।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ

রিপাবলিকা এর্পাসকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ বলেন, পশ্চিমারা ইউক্রেনকে রাশিয়ার সাথে আলোচনা চালিয়ে যেতে নিষেধ করেছে। অথচ দুই মাস আগে এই আলোচনার ব্যাপারে একটি রেজুলুশনে রাজি হয়েছিল ইউক্রেন। সেই ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বাধ্য করেছে পশ্চিমারা।

রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে ল্যাভরভ বলেন, তারা মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, কিন্তু এতে রাশিয়ার চেয়ে তাদেরই ক্ষতি হয়েছে বেশি।

মস্কোর দাবি, পশ্চিমাদের চাপেই আলোচনায় বসছে না কিয়েভ

ল্যাভরভ বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া এখন তার নিজস্ব জনবল ও নির্ভরযোগ্য অংশীদারদের দিকে মনোনিবেশ করেছে। ফলে যে রাশিয়া আগে প্রচুর পরিমাণে কৃষি পণ্য আমদানি করত, সে দেশটি এখন বিশ্বের বৃহত্তম কৃষি দেশে পরিণত হয়েছে।

ইইউ আরোপিত ষষ্ঠ দফার নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ এবং সমুদ্রপথে তেল পরিবহণের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথাও আলোচনায় তুলে আনেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, তেলের বাজার রাজনৈতিক ইচ্ছা ও আদেশ অনুসরণ করে চলে না।

আন্তর্জাতিক হিসেবেও দেখা গেছে, ইউক্রেনে হামলা শুরু হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বিশ্বের চাপে যেখানে রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য কমে যাওয়ার কথা ছিল, সেখানে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক বেশি তেল বিক্রি করেছে দেশটি।

জাতিসংঘের অনুমান অনুসারে, রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনে কমপক্ষে চার হাজার ১১৩ জন বেসামরিক লোক নিহত এবং চার হাজার ৯১৬ জন আহত হয়েছে। তবে মূল সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি বলে ধারণা করা হয়।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার হিসেব অনুসারে এরই মধ্যে ইউক্রেনের ৬৮ লাখের বেশি মানুষ অন্য দেশে পালিয়ে গেছে। দেশে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৭৭ লাখের বেশি নাগরিক।