ফিলিস্তিনিদের কষ্টের আগুনে ঘি ঢালছে আমিরাত!

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন ইসলামিক জিহাদ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সংগঠনটি বলছে, তেল আবিবের সাথে সম্পর্ক সম্প্রসারণের বিষয়ে আবু ধাবির জেদ ফিলিস্তিনিদের কষ্টের আগুনে ঘি ঢালার সমান। সংগঠনটির মুখপাত্র তারিক সালমি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরায়েলি সরকারের সাথে আমিরাতের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতার অর্থ ফিলিস্তিনিদের জীবনের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন। ফার্স নিউজ।

ফিলিস্তিনিদের কষ্টের আগুনে ঘি ঢালছে আমিরাত!

তারিক আরও বলেন, ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণ ও সর্বাত্মক সম্পর্ক স্থাপনে সমর্থন দেওয়া আল-কুদস এবং পশ্চিম তীরে ক্রমবর্ধমান ইহুদিবাদী আগ্রাসন অস্বীকার করার সমান। এর মাধ্যমে মূলত ইসরায়েলি সন্ত্রাসবাদ ও ফিলিস্তিনের যন্ত্রণাও অস্বীকার করা হয়।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় তথাকথিত আব্রাহাম অ্যাকর্ডের অধীনে ২০২০ সালে আমিরাত আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়বারের মতো নাফতালি বেনেট আবুধাবি সফর করেন। বাহরাইন, মরক্কো এবং সুদান ইতোমধ্যে তেল আবিবের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।

সফর শুরু করার আগে বুধবার রেকর্ড করা এক ভিডিও বিবৃতিতে বেনেট ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বোর্ড অফ গভর্নরের সভায় ইরান-বিরোধী প্রস্তাব ও তাতে সমর্থনকারী দেশগুলোর প্রশংসা করেন।

গত মাসে ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করেছে, যা কোনো আরব দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের এই প্রথম অভিজ্ঞতা। মাসব্যাপী আলোচনার পর গত ৩১ মে দুবাইতে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। মুসলিম দেশগুলোতে বিষয়টি তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

আমিরাত-ইসরায়েল বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোরিয়ান বারাক বলেন, বাণিজ্য চুক্তিতে করের হার, আমদানি এবং বুদ্ধিভিত্তিক সম্পত্তির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে, যা ইসরায়েলি কোম্পানিকে আমিরাতে আরও বেশি শক্তিশালী করে তুলছে। চুক্তির ফলে দুবাইতে ইসরায়েলের কোম্পানি অফিসও স্থাপন করতে পারবে।

কাউন্সিল ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রায় ১ হাজার ইসরায়েলি কোম্পানি সংযুক্ত আরব আমিরাতে কাজ করবে।

আমিরাত ২০২১ সালের ১৪ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলে দূতাবাস উদ্বোধন করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ উপস্থিত ছিলেন।

ইসরায়েলও গত বছরের জুনে আমিরাতের রাজধানীতে দূতাবাস খুলেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড উদ্বোধন করেছিলেন। একই সফরে তিনি দুবাইতে ইসরায়েল সরকারের কনস্যুলেটও উদ্বোধন করেন।