বিহারে রেলস্টেশনে হাজারো যুবকের হামলা, কোচে আগুন

ভারত সরকার সামরিক খাতে নিয়োগ সংক্রান্ত নতুন যে নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে বিক্ষোভকারীরা একটি রেলওয়ে স্টেশনে অফিস ভাংচুর করেছে। তাদের দাবি, নতুন সামরিক নিয়োগ নীতি কোনোক্রমেই বাস্তবায়ন করা যাবে না। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

বিহারে রেলস্টেশনে হাজারো যুবকের হামলা, কোচে আগুন

বিহার ভারতের অন্যতম দরিদ্র রাজ্য। শনিবার হাজার হাজার যুবক রেলস্টেশনে হামলা চালায়, টায়ার জ্বালিয়ে দেয় এবং স্টেশনে কর্মকর্তাদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। 

খবরে বলা হয়, হামলা-সংঘর্ষের সময় অন্তত ১২ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং কমপক্ষে চারজন পুলিশ আহত হয়েছে। বিহারের আইনশৃঙ্খলা তত্ত্বাবধানে থাকা সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা সঞ্জয় সিং এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার লোক মাসাউরহি রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ করে এবং রেলওয়ের লোকজনের ওপর আক্রমণ করে।

সেনা নিয়োগে 'অগ্নিপথ' নামে নতুন নীতিমালা নিয়ে কাজ করছে ভারত সরকার। এ নীতির লক্ষ্য ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর গড় বয়স কমিয়ে আনার পাশাপাশি বাড়তে থাকা পেনশনের খরচ কমানো। এ পরিকল্পনায় চার বছর মেয়াদি চুক্তিতে আরও বেশি লোকবল সেনাবাহিনীতে যুক্ত করা হবে।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, পরিকল্পনাটি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাথে স্থায়ী চাকরির সুযোগ সীমিত করবে। স্থায়ী চাকরিতে যেমন নির্দিষ্ট বেতন, পেনশন এবং অন্যান্য সুবিধার গ্যারান্টি রয়েছে, নতুন সিস্টেমে তা না থাকার আশঙ্কা রয়েছে। কিছু অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাও বলছেন, সরকারের অর্থ-সঞ্চয়ের পরিকল্পনা জাতির সম্মান এবং ভারতের নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ন করবে।

ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর আকার চীনের পরেই বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয়। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর সেনাবাহিনীতে নিয়োগ বন্ধ ছিল। এ সময়ে হাজার হাজার প্রার্থী সামরিক বাহিনীতে যোগদানের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে একজন বিক্ষোভকারী বলেন, এখন আমাদের বলা হচ্ছে, আমাদের মাত্র বছরের জন্য চাকরি থাকবে।

এ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় সেনাপ্রধান ভিপি মালিক টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলছেন, যুবকদের হতাশার কারণ আছে। তবে সরকার এবং সশস্ত্র বাহিনীকে যুবকদের কাছে এ প্রকল্পের ন্যায্যতার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে হবে। প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।