ইসরায়েলকে স্বীকৃতি প্রশ্নে পাকিস্তানে ফের বিতর্ক

ফিলিস্তিনের সমর্থক হিসেবে পাকিস্তান এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং দুই দেশের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই। কিন্তু কিছুদিনের ব্যবধানে মধ্যে দুটি ঘটনায় বিতর্কে পড়েছে দেশটি। খবর ডন।

পিপিপির সিনেটর সেলিম মান্ডভিওয়ালা

কয়েকদিন আগে প্রবাসী পাকিস্তানিদের একটি দল ইসরায়েল ভ্রমণ করে। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলে সমালোচনার মুখে পাকিস্তান সরকার জানায়, ইসরায়েল সফর করা ওই দলটির সাথে সরকারের কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই।

সম্প্রতি জোট সরকারের অংশীদার পিপিপির সিনেটর সেলিম মান্ডভিওয়ালা মন্তব্য করেন, ইসরায়েলের সাথে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকা উচিত। তবে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে ওই সিনেটর দাবি করেন, তার বক্তব্যকে বিকৃত করা হচ্ছে। তিনি কোনোভাবেই ওই কথা বলেননি।

ইসরায়েল সফর করা প্রবাসী পাকিস্তানি দল

পাকিস্তানের গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ডননিউজটিভির সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে বর্তমান সরকারের অংশ পিপিপির সিনেটর মান্ডভিওয়ালা বলেছিলেন, কোনো দেশের সাথেই আমাদের সংলাপ ও বাণিজ্য বন্ধ করা উচিত নয়। মানুষ ইসরায়েলের সমালোচনা করে, কিন্তু আমাদেরকে নিজেদের স্বার্থ দেখতে হবে। দেশের স্বার্থে যা যা করা উচিত, আমাদের তাই করতে হবে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর কথা উল্লেখ করে মান্ডভিওয়ালা বলেছিলেন, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন এবং বাণিজ্য করছেন। পাকিস্তানকেও নিজের স্বার্থের জন্য এসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে।

কিন্তু ব্যাপক সমালোচনার মুখে গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, তিনি কখনোই ইহুদি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি বা তাদের সাথে বাণিজ্য সমর্থন করেননি। তিনি বরং দাবি করেন, তার বক্তব্য বিকৃত করে এসব কথা ছড়ানো হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমি কখনোই চাইনি, পাকিস্তান ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক রাখুক বা তার সাথে বাণিজ্যে লিপ্ত থাকুক। আমি পার্লামেন্টেও এমন বিবৃতিই দিয়েছি। কারণ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নৃশংসতা বিশ্ববাসীর অজানা নয়।

২০২০ সালে আব্রাম চুক্তির আওতায় বিভিন্ন দেশের সাথে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ক্ষেত্রে ইসলামাবাদ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, ফিলিস্তিনি সমস্যার ন্যায্য নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে পারবে না।