শতশত শরণার্থী তুরস্ক থেকে সিরিয়ায় ফিরছে

তুরস্ক বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শরণার্থী আশ্রয় দিয়েছে। দেশটিতে আশ্রয় পাওয়া সিরিয়ান নাগরিকের সংখ্যা প্রায় ৩৭ লাখ। এরই মাঝে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৮০০ শরণার্থী নিজ দেশ সিরিয়ায় ফিরে যাচ্ছে। এদের অধিকাংশই অবিবাহিত। তবে অধিকাংশ সিরীয় শরণার্থী তুরস্কে থাকতেই পছন্দ করছেন। তুরস্কে নিযুক্ত জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রতিনিধি ফিলিপ লেক্লার্ক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। রয়টার্স।

এক সিরীয় শরণার্থীর হাতে তুরস্কের পতাকা

শরণার্থী ফেরত যাওয়া প্রসঙ্গে জাতিসংঘ উদ্বেগ জানিয়ে বলছে, সিরিয়ার পরিস্থিতি শরণার্থীর ফিরে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত হয়নি।

এদিকে চাপ সামলাতে তুর্কি সরকার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় ১ মিলিয়ন সিরিয়ান শরণার্থীদের জন্য বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে

ফিলিপ লেক্লার্ক ইস্তাম্বুলে এক সাক্ষাৎকারে রয়টার্সকে বলেন, যারা তুরস্ক থেকে সিরিয়া ফিরে যাচ্ছে তাদের বেশিরভাগই অবিবাহিত। তার প্রতি সপ্তাহে উত্তর সিরিয়ার বিভিন্ন অংশে ফিরে যাচ্ছে। তবে বেশিরভাগ সিরীয় বিশ্বাস করে তারা তুরস্কেই থাকবে। কারণ তুরস্কের অর্থনৈতিক অবস্থা সিরিয়ার তুলনায় অনেক বেশি অনুকূলে।

তিনি বলেন, শরণার্থীরা স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই কথাটি চিন্তা করে অনেকেই মনে করছে, সিরিয়ার চেয়ে তুরস্কে তাদের অবস্থানের সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। তাছাড়া সিরিয়ার রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার আরও অবনতি হচ্ছে। নতুন করে তুরস্কে আরও ১ লাখ ৪৫ হাজার ইউক্রেনীয় শরণার্থী যুক্ত হয়েছে।

লেক্লার্ক বলছেন, বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তা সমস্যার নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানি সচল হওয়া দরকার। এজন্য তুরস্ক রাশিয়া, ইউক্রেন এবং জাতিসংঘের সাথে কাজ করছে।

তার দাবি, রাশিয়ার অবরোধে ইউক্রেন থেকে খাদ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম প্রধান শস্য ও ভোজ্যতেলের উৎস। ইউক্রেন যুদ্ধ আন্তর্জাতিক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অবশ্য জাতিসংঘ ইউক্রেনের রপ্তানি এবং রাশিয়ান খাদ্য ও সার রপ্তানি পুনরায় শুরু করার জন্য একটি চুক্তির মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে।

তবে মস্কোর অভিযোগ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণেই বিশ্বব্যাপী সংকট দেখা দিয়েছে।