আপনি পড়ছেন

চীনে ইউরোপীয় কূটনীতিকদের একটি দল বেইজিংকে তার জিরো-কোভিড নীতি অব্যাহত রাখার পরিণাম নিয়ে সতর্ক করেছে। নাগরিকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে কোভিড বিধিনিষেধগুলো সহজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। সোমবার বেইজিংয়ে সেন্টার ফর চায়না অ্যান্ড গ্লোবালাইজেশন আয়োজিত এক গোল টেবিল বৈঠকে তারা এ আহ্বান জানান।

chinas zero cowid policy is fueling distrustচীনের জিরো কোভিড নীতি অবিশ্বাস বাড়াচ্ছে

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকে সুইস রাষ্ট্রদূত বার্নার্ডিনো রেগাজোনি বলেন, আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে চীন বাকি বিশ্ব থেকে দূরে রয়েছে। এই মুহূর্তে চীনে সুইস শিক্ষার্থীর সংখ্যা কার্যত শূন্য। এছাড়া চীনের লকডাউন এবং উত্থান-পতনের অর্থনীতিও সুইস কোম্পানিগুলোর জন্য বড় ক্ষতির কারণ। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে ভবিষ্যতে নতুন বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া ক্ষেত্রে তা আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে।

রেগাজোনি বলেন, তিন বছর জুম মিটিং করার পর, সামনা-সামনি বৈঠক কতটা জরুরি সে বিষয়ে আমরা সবাই অবগত। একই সময়ে কেউ বিশ্বায়ন এবং সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণের নীতি মেনে চলতে পারে না। আশা করি, আমাদের চীনা অংশীদাররা বুঝতে পেরেছেন যে আত্ম-বিচ্ছিন্নতা প্রথমে চীন ও বাকি বিশ্বের ক্ষতি করবে।

তিনি আরও বলেন, শূন্য-কোভিড নীতির যে ‘পরিণাম’ রয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মুখোমুখি বা সামনা-সামনি যোগাযোগ রক্ষা করে চলা আন্তর্জাতিক উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করবে। আমি নিশ্চিত ব্যক্তিগত কূটনীতি পুনরায় শুরুর মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝির অর্ধেক কমানো যেতে পারে।

সুইডিস রাষ্ট্রদূতের কথা প্রতিধ্বনিত হয়েছে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিগনে ব্রুডসেটের বক্তব্যেও। তিনি বলেন, বর্তমানে চীনে বসবাসকারী নরওয়েজিয়ানদের সংখ্যাও আশ্চর্যজনকভাবে কম, মোট কতজন রয়েছে তা যাচাই করা দরকার। কিছু কোম্পানি নরওয়েতে তাদের বোর্ডরুম এবং চীনে তাদের স্থানীয় ব্যবসার মধ্যে ক্রমবর্ধমান দূরত্ব অনুভব করেছে।

ব্রুডসেট বলেন, মুখোমুখী যোগাযোগের অভাব আমাদের বোঝাপড়াকে দুর্বল করে দেয়। মিডিয়ার বাস্তবায় তথ্য ও ভুল তথ্য আরও ভুল বোঝাবুঝি এবং ভুল ব্যাখ্যার ঝুঁকি তৈরি করে, যা নেতিবাচক প্রভাব বাড়িয়ে তোলে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বেইজিংয়ের কঠোর জিরো-কোভিড নীতির নিয়ে দেশ-বিদেশে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে এসব মতামত জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূতরা।

ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত দারিও মিহেলিন বলেন, জনগণের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের অভাব এবং অনানুষ্ঠানিক মুখোমুখি আলোচনার অভাবে পরস্পরের মধ্যে বিচ্ছিন্ন হওয়ার অনুভূতি তৈরি হবে। এরপর এই দূরত্ব ভুল বোঝাবুঝি, ভুল ব্যাখ্যা, ভুল যোগাযোগ এবং দুর্ভাগ্যবশত অবিশ্বাসের ভিত্তি তৈরি করে।

বৈঠকে উপস্থিত ইতালির রাষ্ট্রদূত লুকা ফেরারি বলেন, যদি চীনের সীমান্ত খুব বেশি দিন বন্ধ থাকে, তবে এটি বিচ্ছিন্নতার দিকে নিয়ে যাবে এবং দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যয় নিয়ে আসবে।

কোভিডের আগের ধারা বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের নিয়মগুলো সহজ করা, রাজনৈতিক সফর, ব্যবসায়িক বিনিময় এবং ছাত্রদের পুনরায় ফেরানো জরুরি। বেইজিং জানিয়েছে, তারা সুশৃঙ্খলভাবে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বৃদ্ধি করবে।

ফ্লাইটে সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে লুকা ফেরারি বলেন, চীন কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতিকে সত্যিই আমরা প্রশংসা জানাই। … অবশ্যই, একইভাবে আরও কিছু করা দরকার।

ফরাসি রাষ্ট্রদূত লরেন্ট বিলি জানান, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলো কেবল কর্পোরেট সহযোগিতাকেই প্রভাবিত করে না, ইউরোপীয় এবং চীনা নেতাদের মধ্যে অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক সংলাপের ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.