সিরিয়ার সঙ্গে কন্স্যুলার যোগাযোগ রাখবে ইউক্রেন

সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করলেও কন্স্যুলার যোগাযোগ অক্ষুন্ন রাখবে ইউক্রেন। এতে করে দুই দেশের নাগরিকরা ভিসা নিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে।

ইউক্রেনের বেশকিছু সৈন্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদ ধ্বংস করেছে রাশিয়া

এর আগে সিরিয়া সরকার পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়াপন্থী দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক (ডিপিআর) ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিককে (এলপিআর) স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দামেস্কের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ এবং সিরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন।

সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার নীতি থেকে সিরিয়া সরকার দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে সিরিয়া।

৮০ বিদেশি সৈন্য হত্যার দাবি রাশিয়ার

দূর পাল্লার গোলাবর্ষণের মাধ্যমে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনা ধ্বংসের দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। কর্মকর্তারা জানান, নিকোলায়েভ শহরে ইউক্রেনের টেরিটোরিয়াল ডিফেন্স ফোর্সেসের ১২৩তম ব্রিগেডের ঘাঁটিতে ভাড়াটে বিদেশি সৈন্যরা অবস্থান করছিল। লক্ষ্যনিবিষ্ট গোলার সাহায্যে ওই ঘাঁটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে। সেখানে ইউক্রেনের ২০ জন সৈন্য ও ৮০ জন বিদেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছে।

এছাড়া দনিপ্রোপেত্রোভস্ক শহরে ইউক্রেনের খোরতিৎসা মিলিশিয়ার একটি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে রুশ বাহিনী। পাশাপাশি মিকোলাইভ অঞ্চলের শেভচেঙ্কো গ্রামে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ৭৯তম এয়ারবোর্ন অ্যাসল্ট ব্রিগেডের গোলাবারুদের ডিপো ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযানে ইউক্রেনের ৬টি সাঁজোয়া ও অটোমোটিভ ইকুইপমেন্ট, ১ হাজারের বেশি আর্টিলারি শেল, ৩০০ মর্টার মাইন ও ১০০ রাউন্ড ম্যানপ্যাডস ধ্বংস হয়।

রুশ সড়কে চীনা শকট

চীনা গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান চেরি বলেছে, তারা অচিরেই রাশিয়ার বাজারে নিজেদের প্রস্তুতকৃত ওমোদা গাড়ি বাজারজাত শুরু করবে। পশ্চিমা গাড়ি কোম্পানিগুলো রাশিয়া ছেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে শূন্যস্থান করতে চেরি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাশিয়া ও বেলারুশে গ্রেপ্তারি অভিযান

রাশিয়া ও বেলারুশের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এক যৌথ অভিযানে দুই দেশে বেশ কয়েকজন প্রাইভেট ডিটেকটিভকে গ্রেপ্তার করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দুই দেশের সেনা কর্মকর্তাদের তথ্য বিদেশে পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

রাশিয়ার বৈদেশিক গোয়েন্দা বিভাগ এফএসবি ও বেলারুশের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি এক যৌথ অভিযানে একদল প্রাইভেট ডিটেকটিভকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে রাশিয়া ও বেলারুশের আয়কর বিভাগের কর্মকর্তাও রয়েছেন। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের গোপনীয় তথ্য দেশের বাইরে স্থানান্তর করছিল।

অভিযোগে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃতরা ২০১৯ সাল থেকে রাশিয়া ও বেলারুশের সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর ৩০ জনের বেশি কর্মকর্তার তথ্য সংগ্রহ ও পাচার করেছে। রাশিয়ার তদন্ত কর্মকর্তারা এরইমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে রুশ দণ্ডবিধির ২৯০ ও ২৯১ ধারায় ফৌজদারি মামলা রুজু করেছেন।

এদিকে পৃথক অভিযানে রাশিয়ার এফসিবি মারমানস্ক অঞ্চল থেকে এস্তোনিয়ার এক নাগরিককে আটক করেছে। আটককৃত ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি।

এফসিবি কর্মকর্তারা বলেছেন, আটককৃত এস্তোনিয়ান নাগরিক তার দেশের গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ করছিল। তার বিরুদ্ধে রুশ নিরাপত্তা বাহিনী সংক্রান্ত তথ্য পাচারেরও প্রমাণ পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, নিজ দেশের গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে তিনি রাশিয়ার পাশাপাশি ইউরোপের কয়েকটি দেশেও একই ধরণের দায়িত্ব পালন করেছেন।