সঠিক নিয়মে যাকাত দিলে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বাংলাদেশ
- Details
- by মহিউদ্দিন রাব্বানি
যাকাত একটি আর্থিক ইবাদত। এর প্রধান উদ্দেশ্য দারিদ্র্য বিমোচন। এছাড়া এর মাধ্যমে বান্দা আর্থিক পরিশুদ্ধি লাভ করে। আল্লাহতায়ালা যাকাত প্রদানের মাধ্যমে আমাদের সম্পদ বৃদ্ধি করেন। দান করেন সমৃদ্ধি। সর্বোপরি এই সাদাকা প্রদানে শুদ্ধ হয় অন্তরাত্মা। ইসলামি রাষ্ট্রের প্রধান ৪টি কাজের মধ্যে যাকাত একটি।
কিন্তু আমরা কি যাকাত প্রদানে সুষ্ঠু নিয়ম পদ্ধতি অনুসরণ করি? যারা যাকাত আদায় করেন তাকে অবশ্যই ভেবে দেখা উচিত তার এ দানের মাধ্যমে গ্রহীতা সত্যিকার্থে কী উপকার পাচ্ছে। যার ১ লাখ টাকা যাকাত এসেছে সে যদি ১০০০ জন দরিদ্রকে এ টাকা বণ্টন করে দেন তাহলে গড়ে প্রত্যেকে ১০০ টাকা পাবে। বর্তমানে এ সামান্য টাকায় কিছুই হয় না। এর মাধ্যমে কখনো কি দরিদ্র বিমোচন সম্ভব? অথচ আমাদের সমাজে আমাদের দেশে সাধারণত এভাবেই যাকাত প্রদান করা হয়ে থাকে।
যদি আমার ১ লাখ টাকা যাকাত ২-৩ জন মানুষকে এমনভাবে বণ্টন করি, যাতে করে পরবর্তীতে সে নিজেই যাকাত দিতে পারে, তাহলে আশা করা যায়, এদেশ থেকে দারিদ্রতা মুছে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না। দরিদ্র কোন ব্যক্তিকে একটি রিক্সা কিংবা অটো-স্কুটার, সিএনজি কিনে দিলে, সে এর মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবে। নির্বাহ করতে পারবে সংসার। কাউকে একটি গাভী কিংবা ছাগল কিনে দিলে সে এর মাধ্যমে একজন প্রান্তিক কৃষক বাছুর উৎপাদন ও দুধ বিক্রি করে সংসার পরিচালনা করতে পারবে। কোন মহিলাকে সেলাই মেশিন দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও কোন কৃষককে পুকুর কিংবা ফসলী জমি লিজের ব্যবস্থা করে দিলেও খুব ভালো হবে।।
অন্যদিকে ব্যবসায়ে আগ্রহী কোন দরিদ্রকে নূন্যতম পুঁজি দিয়ে ব্যবসা চালু করে দেওয়া যেতে পারে। আবার বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণের মধ্যমে দক্ষ জনসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলে দারিদ্রতা দূর করা যায়। এছাড়া এরূপ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ধনাঢ্য ব্যক্তিরা যদি দরিদ্র বিমোচনে সচেষ্ট ও সক্রিয় ভূমিকা রাখেন তাহলে সমাজে আর থাকবে না অনাহারী, উপোস আর দীনহীন ব্যক্তি। আর এভাবেই আমাদের দেশ দারিদ্রতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে সুখী-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
লেখক: ইসলামি গবেষক।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর