আপনি পড়ছেন

ইসলামি শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ হলো যাকাত। মূলত ইসলামি অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে যাকাত নামক পিলারের ওপর। বিধান অনুয়ায়ী নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তিকে শতকরা আড়াই শতাংশ হারে সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় নির্ধারতি খাতে বছর শেষে দান করে দিতে হয়।

gold jewelleyছবি - সংগৃহীত

যাকাতের ক্ষেত্রে নিয়ম হলো, যেসব সম্পদ নিত্য ব্যবহার্য কাজে ব্যবহার হয়, সেসব সম্পদের যাকাত দিতে হবে না। যেমন কেউ বসবাসের জন্য বাড়ি কিংবা চলাফেরা করার জন্য গাড়ি কিনলে সেটার যাকাত দিতে হবে না। তবে এ ‍দুটি খাত খেকে আয় হলে বছরান্তে এর যাকাত দিতে হবে।

তবে স্বর্ণের বেলায় হিসাবটা একটু ভিন্নরকম হবে। স্বর্ণ নিত্য ব্যবহার্য হোক আর নাই হউক, দুই ধরনের স্বর্ণেরই যাকাত দেওয়া জরুরি। অনেকে মনে করেন, শুধু তোলা স্বর্ণেরই যাকাত দিতে হবে। কিন্তু ইসলামি শরিয়ত মতে, ব্যক্তির মালিকানায় যে ধরনের স্বর্ণই থাকুক না কেনো, যদি তা সাড়ে সাত ভরির বেশি এবং মালিকানার সময়কাল এক বছর হয়ে থাকে, তাহলে ওই স্বর্ণের বাজার মূল্যের হিসাব করে যাকাত আদায় করতে হবে। কত দিয়ে কিনেছিলেন তা বিবেচ্য বিয়য় নয়, বর্তমান বাজার মূল্য হিসেব করে মোট মূল্যের শতকরা আড়াই টাকা যাকাত দিতে হবে।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, স্বর্ণের মালিকানা স্ত্রী কিংবা মেয়ের থাকে। এক্ষেত্রে স্ত্রী এবং মেয়েকে নিজ উদ্যেগে স্বর্ণের যাকাত আদায় করতে হবে। রূপার ক্ষেত্রে যদি এর পরিমাণ সাড়ে বায়ান্না তোলা হয় তাহলে যাকাত আদায় করা ফরজ হবে।

বিস্তারিত জানতে দেখুন, ইসলামে যাকাত বিধান, ড. ইউসুফ আল কারজাভি

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর