ম্যাকবুক প্রোর সেরা তিন বিকল্প

যে কোনো কম্পিউটার ব্যাবহারকারিই অ্যাপলের ল্যাপটপ ম্যাকবুক ব্যবহার করতে চান। কিন্তু বাধ সাধে এর চড়া মূল্য। ফলে বাধ্য হয়ে উইন্ডোজচালিত ল্যাপটপই ব্যবহার করতে হয়। অনেকে আবার উইন্ডোজ অপারেটিং পদ্ধতি বদলাতে চান না বলে ম্যাকবুকে যান না, কিন্তু ম্যাকবুকের দ্রুত গতি, টেকসই মান ঠিকই আশা করেন। তাদের জন্য এই লেখায় দেখানো হলো এমন তিনটি ল্যাপটপ যা ম্যাকবুকের দারুণ বিকল্প।

ম্যাকবুকের মূল সুবিধা হলো এর গতি। যে কোনো কাজ যতোই ভারি হোক, ম্যাকবুকে, বিশেষ করে ম্যাকবুক প্রোয়ে তা করে ফেলা যায় অনায়াসে। উইন্ডোজ ল্যাপটপে ম্যাকবুকের সুপার ফাস্ট সার্ভিস না পাওয়া গেলেও, এই তিনটি ল্যাপটপ অসাধারণ।

এইচপি স্পেক্ট্রে এক্স-৩৬০

এইচপির এই ল্যাপটপটি ব্যাটারির দিক থেকে ম্যাকবুক প্রোয়ের চেয়ে ভালো। ম্যাকবুক প্রোর চেয়ে বেশি সময় ব্যাকআপ দিতে সক্ষম এই ল্যাপটপটি টু-ইন-ওয়ান। অর্থাৎ এর স্ক্রিন কিবোর্ড থেকে আলাদা করে ট্যাবলেট হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। যে সুবিধা ম্যাকবুকের নেই।

এর ব্যাকলিট আইল্যান্ড কিবোর্ডে দীর্ঘ সময় ধরে টাইপ করা এক প্রশান্তিময় ব্যাপার। এই ল্যাপটপটি উইন্ডোজ ১০ হোম চালিত। এতে ব্যবহার করা হয়েছে দশম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ফাইভ ও ২৫৬ জিবি এসএসডি স্টোরেজ।

লেনোভো ইয়োগা সি-৯৪০

ম্যাকবুক প্রো থার্টিনের চেয়ে এর স্ক্রিনের আকার একটু বড়— ১৪ ইঞ্চি। কিন্তু দ্রুত গতি ও মজবুক নির্মাণশৈলীর কারণে এই ল্যাপটপটিকে ম্যাকবুক প্রো’র উন্নত বিকল্প ধরা হয়। এই ল্যাপটপটির আকার ৩৬০-ডিগ্রি পর্যন্ত বাঁকানো যায়। ফলে ল্যাপটপের পাশাপাশি এটিকে সহজে একটি ট্যাব হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

ডেল এক্সপিএস ১৭ ৯৭০০

অন্য অনেক উইন্ডোজ ল্যাপটপের সাথে এর মূল পার্থক্য হলো এটির পর্দায় প্রতিবিম্ব তৈরি হয় কম, একেবারে সামান্য। ফলে গ্রাফিক্সের যে কোনো কাজের জন্য ম্যাকবুক প্রোর বিকল্প হিসেবে এই ল্যাপটপটির চাহিদা তুঙ্গে।

ম্যাকবুক প্রোর তুলনায় এটির ওজন সামান্য বেশি। কিন্তু ১৭ ইঞ্চি পর্দার কথা চিন্তা করলে, ওজনটা আপনার কাছে কমই মনে হবে। একটা দিকে অবশ্য ম্যাকবুকের তুলনায় এটি একটু পিছিয়ে, সেটি হলো ব্যাটারি ব্যাকআপ। তবে যতোটুকু আছে, তাতে কাজ চলে ভালো করেই। এই ল্যাপটপটি যেহেতু গ্রাফিক্সের জন্য বিশেষভাবে তৈরি, সুতরাং আপনার যদি গ্রাফিক্সের কাজের জন্য ম্যাকবুকের বিকল্প দরকার হয়, তাহলে ডেলের এই ল্যাপটপটি নিশ্চিন্তে বেছে নিতে পারেন।