আইফোন এইটের একি দশা!

গত বছর স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট সেভেনের ক্ষেত্রে যেমনটা ঘটেছিল, এবার নতুন আইফোন এইট ও এইট প্লাস বাজারে আসার পর থেকে একই ঘটনা শুরু হয়েছে। অ্যাপলের নতুন এই স্মার্টফোনগুলো কিছুদিন ব্যবহার করতে না করতেই ব্যাটারি স্ফিত হয়ে যাচ্ছে, তারপর বিস্ফোরিত হয়ে ফোনের প্রতিটি পার্টস খণ্ড খণ্ড হয়ে যাচ্ছে।

আইফোন এইট প্লাস বাজারে আসার মাত্র এক মাস না পেরোতেই কমপক্ষে ছয়টি ফোনে এ ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত বড় ধরণের কোন ক্ষতি বা আগুন লাগার মতো ঘটনা না ঘটলেও ফোনগুলো মেরামতের অযোগ্য হয়ে গেছে, কেসিংগুলোও বিস্ফোরণের চাপে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

বিস্ফোরণের প্রথম অভিযোগ ওঠে তাইওয়ানের এক নারীর আইফোন এইটে। ফোনটি চার্জে দেওয়ার সময় ব্যাটারি স্ফিত হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। তিনি মাত্র পাঁচদিন ফোনটি ব্যবহার করতে পেরেছিলেন।

গত শনিবার প্রযুক্তি-বিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, জাপানের এক ব্যক্তি তার আইফোন এইট বিস্ফোরণের ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন। এরপর কানাডা, চীন, এবং গ্রিসেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত পাঁচটি দেশে কমপক্ষে ছয়টি আইফোন ৮ বিস্ফোরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আইফোন এইটে বিস্ফোরণ সম্পর্কে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপল জানিয়েছে, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি।’

এখন পর্যন্ত অবশ্য কোনো আইফোনে আগুন ধরার ঘটনা দেখা যায়নি। কেবল তা ফেটে ভেতরের যন্ত্রপাতি বের হতে দেখা গেছে।

মার্কিন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ক্রেইন এনার্জি রিসার্চ অ্যাডভাইজরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালত স্যাম জেফ বলেন, ‘নতুন একটি ব্যাটারি এভাবে ফুলে ওঠার বিষয়টি অস্বাভাবিক। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যাটারিতেই সমস্যা আছে, তাই এই বিস্ফোরণ ঘটছে।’

যদিও হাতে গোনা কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে তবে পুরো ব্যাচের ব্যাটারিতে একই সমস্যা রয়েছে কি না তা এখনো পরিষ্কার নয়। যদি এই ধরণের ঘটনা আরও ঘটে তবে অ্যাপলের দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট হবে।

গত ২২ সেপ্টেম্বর আইফোন এইট ও এইট প্লাস বাজারে ছাড়া হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেল দুটির বিক্রি সংখ্যা প্রকাশ করেনি প্রতিষ্ঠানটি।

এর আগে গত বছরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৯০টি গ্যালাক্সি নোট সেভেন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিলো। এরপর তা বাজার থেকে সরিয়ে নেয় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটি।