ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে আইফোনের দাম কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান অ্যাপল প্রধান টিম কুক। তিনি বলেন, ‘ডলারের সঙ্গে সমন্বয় করতে গিয়ে কোনো কোনো এলাকায় আইফোনের দাম বেড়ে যায়। এজন্য প্রোডাক্টটি কিনতে গিয়ে গ্রাহকের হিমশিম খেতে হয়।’ গত মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন টিম কুক।
টিম কুক জানান, যেসব দেশে ডলারের দর বাড়তি এবং মুদ্রাস্ফীতি অধিক সেসব দেশে আইফোনের দাম বেড়ে যায়। যার কারণে কিনতে গিয়ে ক্রেতাদের হিমশিম খেতে হয়। এ কারণেই বাজারে আইফোনের বিক্রি কমে গেছে। এসব কথা মাথায় রেখেই দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
খবরে বলা হয়, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক যুদ্ধের করণে গত বছর আইফোনের ব্যবসা পাঁচ ভাগ কমে গেছে। তবে অ্যাপল বলছে- চীনের অর্থনীতির শ্লথগতির কারণে এমনটা হয়েছে।
অ্যাপলের সর্বশেষ ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আগের চেয়ে তাদের আয় ১৫ শতাংশ কমে গেছে। আর বার্ষিক আয় কমেছে পাঁচ শতাংশ।
অ্যাপল শুধু একাই এমন সমস্যায় পড়েছে এমনটা নয়। ক্যানালিস নামের একটি বাজার গবেষণা সংস্থা জানাচ্ছে, সারা বিশ্বেই স্মার্টফোনের সরবরাহ ৫ শতাংশ কমে গেছে। তাদের ভাষ্য, ‘গত অক্টোবর থেকে অ্যাপলের শেয়ারের দাম পড়ে গেছে। এর কারণ হলো বিনিয়োগকারীদের মনে ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে- আইফোনের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ কমে গেছে।’
এদিকে কুক জানান, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এমন আশঙ্কা যেন আর তৈরি না হয় সেজন্য আইফোন বিক্রির তথ্য এখন থেকে প্রকাশ করা হবে না।
উল্লেখ্য, এর আগে প্রতি তিনমাসে কী পরিমাণ আইফোন, আইপ্যাড আর ম্যাক বিক্রি হয় সেসব তথ্য প্রকাশ করা হতো।