করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কিছুটা হলেও থমকে গেছে প্রযুক্তি বাজার। অবশ্য এর মধ্যেও নতুন আইফোন এনেছে অ্যাপল। এমন কি ম্যাকবুক প্রো’র নতুন একটি সংস্করণও বাজারে এনেছে তারা। ধারণা করা হচ্ছিলো পরের আইফোনটি হয়তো যথাসময়ে আসবে না, সেই ধারণা সম্ভবত সত্য হতে যাচ্ছে। সে যাই হোক, এর মধ্যে জোরেসোরে চলছে নতুন আইফোন নিয়ে নানা রকম গুঞ্জন।

how the new iphone will be

নতুন আইফোনের মডেল নামটি কী হবে, সে বিষয়ে বেশির ভাগ প্রযুক্তি বিশ্লেষকরাই একমত— আইফোন টোয়েলভ। শেষ পর্যন্ত অন্য কোনো নাম দিয়ে অ্যাপল চমক দেখাতে পারে, যদিও সেই সম্ভাবনা খুবই কম।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, এইবারের আইফোনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হতে যাচ্ছে এর ক্যামেরা। এবারই প্রথমবারের মতো লং-র‍েঞ্জের থ্রি ডি ক্যামেরা যোগ করতে যাচ্ছে অ্যাপল। অবশ্য এই প্রযুক্তি এরই মধ্যে আইপ্যাড প্রো লাইনআপে ব্যবহার করা হয়েছে।

পরের আইফোনের সবচেয়ে মনখারাপ করা ব্যাপার হতে পারে এটি যে— নতুন আইফোনটি দেখতে আইফোন টেন, টেন-এক্স এবং আইফোন এলিভেন প্রোর মতোই মনে হতে পারে। কিন্তু অ্যাপলের পণ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার হয়তো নচটা ছোট করার দিকে মন দিবে অ্যাপল। তবে একেবারে ফেলে দিবে না। কিংবা অ্যাপল এখনই পাঞ্চ হোল বা আন্ডার ডিসপ্লে ক্যামেরার দিকে এখনই যাচ্ছে না।

এ দিকে মিড নাইট গ্রিন কালার নামে যে রঙের আইফোন ছিলো, তা আর থাকছে না, এটি মোটামুটি নিশ্চিত। এই রঙের বদলে নেভি ব্লু নতুন সংযুক্তি হিসেবে আসতে পারে।

how the new iphone will be 2

ডিসপ্লের ক্ষেত্রে নতুন আইফোনে বেশ কিছু পরিবর্তন থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন থাকবে প্রো মডেলটিতে। বিস্ময়কর হলেও সত্য, আইফোন এলিভেন প্রো’র তুলনায় টোয়েলভ প্রো’র ডিসপ্লে কিছুটা ছোট হতে পারে।

নতুন আইফোনের ক্ষেত্রে অ্যাপল এবার নেক্সট-জেনারেশন স্যামসাং ওএলইডি প্যানেল ব্যবহার করতে পারে। গ্যালাক্সি এস-টোয়েন্টি রেঞ্জে যা ব্যবহার করা হয়েছে, অ্যাপল এর চেয়েও উন্নত ওএলইডি প্যানেল ব্যবহার করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা বলছেন।

বায়োমেট্রিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আরো জোর দিচ্ছে অ্যাপল। ফলে ফেস আইডি প্রযুক্তি নতুন আইফোনেও থাকবে। কিন্তু অনেকেই ফেস আইডি পছন্দ করেন না, তাদের জন্য সুখবর হলো অ্যাপল ফিঙ্গার প্রিন্ট লক প্রযুক্তি ফেরানোর চিন্তা করছে। অর্থাৎ নতুন আইফোনে ফেস আইডি ও ফিঙ্গার প্রিন্ট; দুটিই থাকতে পারে।

অ্যাপল শেষ পর্যন্ত দুটি লকিং পদ্ধতিই রাখবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। তবে রাখতে যে পারে, সেই সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে এই কারণে যে— গত কয়েক বছরে ইন ডিসপ্লে ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রযুক্তির জন্য অ্যাপল একাধিক পেটেন্ট রেজিস্টার করেছে।

নতুন আইফোনে ব্যবহৃত হতে পারে অ্যাপল এ-ফোরটিন চিপ। এ ছাড়া ছয় জিবি র‍্যাম যোগ হতে পারে। যা আইফোনের শক্তি-সামর্থ্য আইপ্যাড পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।

এখন পর্যন্ত নতুন আইফোনের ব্যাটারি লাইফ নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। ধারণা করা হচ্ছে অ্যাপল তারবিহীন চার্জিং পদ্ধতির ক্ষেত্রে আরো উন্নত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, যা আরো দ্রুত সময়ের মধ্যে ফোন পুরোপুরি চার্জড আপ করতে সক্ষম হবে। কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে নতুন আইফোনের প্রতিটি সংস্করণেই ফাইভ-জি যোগ হতে পারে।
বেশ কয়েকটি অ্যাপল ইনসাইডার সূত্রগুলো বলছে যে, দামের ক্ষেত্রে খুব বেশি লাফ দেওয়ার ইচ্ছে নেই অ্যাপলের। ফাইভ-জি ফোন তৈরির ক্ষেত্রে অ্যাপলের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সামস্যাং যে দাম নির্ধারণ করেছে, অ্যাপল তা করবে না বলেই ধারণা বাজার বিশ্লেষকদের।

নতুন আইফোনের ক্ষেত্রে বড় প্রশ্নটি হলো— এটি কবে নাগাদ রিলিজ হবে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে এটা নিশ্চিত যে, প্রতি বছরের মতো এবার আর সেপ্টেম্বর মাসে নতুন আইফোন আসার সম্ভাবনা নেই। করোনাভাইরাসের কারণে সাপ্লাই ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে গেছে। সব কিছু আবার নতুন করে পুরোদমে সচল হতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যাবে। সে ক্ষেত্রে এই বছরের একেবারে শেষে গিয়ে হয়তো দেখা মিলবে নতুন আইফোনের।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.