চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এতে করে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার আগের শীতল সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে রূপ নেয় চরম তিক্ততায়। বিশেষকরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসে পুতিনের দেশ। সরাসরি যুদ্ধে না জড়ালেও ইউক্রেনকে সকল প্রকার সহযোগিতা করার মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে ‘প্রক্সি যুদ্ধ’ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। পৃথিবীর মাটিতে এমন যুদ্ধাংদেহী পরিস্থিতি হলেও মহাকাশে উষ্ণ বন্ধুত্ব বজায় রেখেছে দেশ দুটি।
মহাকাশে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র বন্ধুত্ব
পৃথিবী থেকে লাখ লাখ মাইল দূরে স্পেস স্টেশনে এখনও পাশাপাশি রাশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকা। মাধ্যকর্ষণের শূন্যতায় এখনও তাদেরকে স্পর্শ করেনি কোনো বৈরিতা। অবশ্য অস্তিত্বরক্ষাই যেখানে মূল ভাবনা, সেখানে সহযোগিতাই একমাত্র সম্বল। তাই পৃথিবীর কোনো যুদ্ধ কিংবা তিক্ততা মহাকাশে থাকা দুই দেশের বিজ্ঞানীদের স্পর্শ করেনি।
নাসার মহাকাশচারী থমাস মার্শবার্ন ৬ মাস মহাকাশে কাটানোর পর পৃথিবীর বুকে ফিরে আসেন গত ৬ মে। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কোনো প্রভাব পড়েনি। রাশিয়ার মহাকাশচারীদের সাথে আমাদের সর্ম্পক ৪০ বছরের।
তিনি আরো বলেন, স্পেস স্টেশনে আমরা সকলেই মহাকাশ গবেষণায় নিয়োজিত। সবার যৌথ প্রচেষ্টায় নতুন কিছু সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পৃথিবীর খারাপ কোনো কিছুই আমাদের স্পর্শ করতে পারে না।
আমেরিকান কোম্পানি স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন মহাকাশযান ক্রু-৩ মিশনে অংশগ্রহণ করেন চারজন আমেরিকান, দুজন রাশিয়ান এবং একজন ইউরোপিয়ান মহাকাশচারী।