সম্প্রতি নিজেদের প্রাইভেসি পলিসিতে বড় পরিবর্তন এনেছে হোয়াটসঅ্যাপ। একই সাথে তারা বলে দিয়েছে, কোনো ব্যবহারকারি যদি নতুন প্রাইভেসি পলিসিতে সম্মতি না দেন, তাহলে ফেব্রুয়ারির আট তারিখের পর থেকে আর হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না। এতেই চটেছেন অনেকে। তারা হোয়াটসঅ্যাপের পরিবর্তে সিগন্যাল অ্যাপ ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
এই পরামর্শদাতাদের মধ্যে আছেন ইলন মাস্কও। টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা মনে করেন, গ্রাহকদের যে প্রতিষ্ঠান হুমকি দেয়, তাদের সেবা গ্রহণ না করাই ভালো। তিনি টুইটারে সিগন্যাল অ্যাপ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।
গত পাঁচ জানুয়ারি থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহকদের অ্যাপে নতুন প্রাইভেসি পলিসিতে সম্মতি দেওয়ার জন্য নোটিফিকেশন পাঠাচ্ছে। জানা গেছে, অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস দুই ধরনের মোবাইল ব্যবহারকারিরাই নোটিফিকেশনটি পাচ্ছেন।
এ দিকে এই ঘটনার পর সিগন্যালে নতুন গ্রাহকদের নিবন্ধন করার হার বেড়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কিছু কিছু গ্রাহকের নিবন্ধন করার সময় মোবাইলে ভেরিফিকেশন কোড পেতে সমস্যা হচ্ছে। এর কারণ হলো এতো বেশি গ্রাহক এক সঙ্গে আবেদন করছেন যে, তাদের পক্ষে তা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন পলিসিতে কী আছে?
জানা যাচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ একজন ব্যবহারকারির বিশেষ কিছু তথ্য তাদের মূল মালিক প্রতিষ্ঠান ফেসবুকের সঙ্গে শেয়ার করবে। যদি কোনো গ্রাহক এই বিষয়ে সম্মতি না দেন, তাহলে তাকে হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়তে হতে পারে।
হোয়াটসঅ্যাপ সাধারণত একজন গ্রাহকের কিছু ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে। এর মধ্যে আছে নাম, ফোন নম্বর, এড্রেসবুকের তথ্য, স্টাটাস ইনফরমেশন, ডিভাইসের তথ্য এবং আইপি এড্রেস।
তবে হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করে, তারা গ্রাহকদের আদান-প্রদান করা মেসেজ দেখে না বা তাদের নিজস্ব কোনো সার্ভারে সংরক্ষণ করে না।
সিগন্যালের জন্য সুদিন
প্রাইভেসি পলিসিতে সম্মতি দেওয়ার জন্য গ্রাহকদের চাপ দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ যখন বিপদে পড়ছে, তখনই কপাল খুলে যাচ্ছে সিগন্যাল অ্যাপের। বিশ্বজুড়ে বহু গ্রাহক এরই মধ্যে সিগন্যালের প্রতি তাদের বিশ্বস্ততার কথা প্রকাশ করেছেন।
সিগন্যালের প্রতিষ্ঠাতা হলো সিগন্যাল ফাউন্ডেশন। এটি গ্রাহকের কিছু মৌলিক তথ্য ছাড়া আর কিছু সংগ্রহ করে না এবং অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে দেয় না, এমন একটি বিশ্বাসযোগ্য ধারণা প্রযুক্তি দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত আছে।
সিগন্যালের উইকিপিডিয়া পেইজে বলা আছে, অন্তত ১০ মিলিয়ন অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারি সিগনাল ব্যবহার করেন। আইওএসেও সিগন্যাল ব্যবহারকারি আছেন কয়েক মিলিয়ন।