সম্প্রতি একটি জরিপে দেখা গেছে, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা বাড়ির বাইরে গেলে মোবাইল ডাটার পরিবর্তে পাবলিক ওয়াইফাই ইন্টারনেট ব্যবহারকে বেছে নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই  ফোনের নানা অপশন চালু না চালু রাখার ব্যাপারে সচেতন নন। পাবলিক ওয়াইফাইয়ে যুুক্ত থাকার সময়ে কিছু অপশন আছে যা চালু থাকলে ঝুঁকির মধ্যে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

auto join functionবিপজ্জনক অটো-জয়েন ফাংশন

নর্ড ভিপিএনের ডিজটিাল নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ডানিয়েল মারকাসন বলেন, মোবাইল ফোনের একটি বিপজ্জনক ফাংশন হচ্ছে অটো-জয়েন ফাংশন। এই ফাংশনের ধরুন ফোন লগইন করা মাত্রই নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়ে যায়। এই ফাংশনটি হয়তো আপনার কয়েক সেকেন্ড সেভ করতে পারবে। কিন্তু এতে আপনার ফোন বড় ধরনের বিপদের মুখোমুখি হতে পারে। এই কারণে অটো-জয়েন ফাংশনটি নিষ্ক্রিয় করে রাখা সবচেয়ে উপকারী সিদ্ধান্ত।

অটো-জয়েন ফাংশনে ঝুঁকি কেন: এই ফাংশন অ্যাকটিভ থাকলে সয়ংক্রিয়ভাবে পাবলিক নেটওয়ার্কে আপনাকে নিয়ে যাবে। আপনার অনুমতি ছাড়াই এটা হবে। হ্যাকাররা পাবলিক ওয়াইফাইতে সাধারণত সহজে আঘাত হানতে পারে। কারণ পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক খুব বেশি সুরক্ষিত থাকে না।

dangerous auto join functionসবচেয়ে ‘বিপজ্জনক’ সেটিংসগুলোর অন্যতম হল অটো-জয়েন ফাংশন

ডানিয়েল মারকাসন বলছেন, পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবহারকারীদের আইডিতে ঢুকে হ্যাকাররা তাদের তৎপরতা চালাতে সক্ষম হয়। পাবলিক নেটওয়ার্কে যদি কেউ ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কিংবা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য দেয়া-নেয়া করে তাহলে সেসব তথ্য হ্যাকারদের হাতে চলে যেতে পারে।

অটো-জয়েন ফাংশন কিভাবে কাজ করে: যাদের ফোনে এই ফাংশন অ্যাকটিভ করা আছে, লগইন করার সঙ্গে ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে। এতে ফোনের এসএসআইডির (ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক) সঙ্গে মিল রেখে হ্যাকাররাও ওয়াইফাইয়ে ঢুকে পড়ে।

একই এসএসআইডিতে হ্যাকারদের এই উপস্থিতিকে বলে ‘এভিল টুইন’ বা ‘দুষ্টু জমজ’ ওয়াইফাই। অটো-জয়েন ফাংশন অন থাকলে যে কোনো স্থান থেকে ওয়াইফাইয়ে কানেক্ট থাকলে তা হ্যাকারদের নাগালের মধ্যে থাকে। ফোন ব্যবহারকারী তা জানতে পারেন না।

ধরুন, সোমবার আপনি আপনার প্রিয় ক্যাফেতে গিয়ে ওয়াইফাইয়ে ঢুকলেন। আপনি জানেন এই কানেকশন নিরাপদ। কিন্তু মঙ্গলবার একজন হ্যাকার আপনার এসএসআইডিতে ঢুকে নেটওয়ার্ক স্থাপন করে ফেলতে পারে।

বুধবার যখন আপনি ক্যাফেতে বসলেন তখন আপনি বুঝতে পারবেন না আপনি সয়ংক্রিয়ভাবে অন্য কোনো বিপদজনক নেটওয়ার্কের মধ্যে ঢুকে পড়েছেন কি না। যখন এভিল টুইন নেটওয়ার্কে কেউ ঢুকে পড়ে তখন ফোনটি হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।

কীভাবে ফোন রক্ষা করবেন: হঠাৎ করে অরক্ষিত নেটওয়ার্কে ঢুকে পড়া থেকে রক্ষা পেতে অটো-জয়েন ফাংশন নিষ্ক্রিয় করে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন মারকাসন। বিমানবন্দর, বার, ক্যাফে কিংবা অন্যান্য স্থানে পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের চেয়ে মোবাইল ডাটা ব্যবহার বেশি নিরাপদ। ঝুঁকি এড়াতে যা করতে হবে -

ভিপিএন ব্যবহার: এটা মনে রাখা দরকার যে, পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভিপিএন একটি সুবিধাজনক সফটওয়্যার। এটা নেটওয়ার্কের মধ্যে তৃতীয় পক্ষ কাউকে প্রবেশে বাধা দেয়।

নিরাপদ ওয়াইফাই ব্যবহার: যে পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্কটি বেশি নিরাপদ ও পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত সেটি ব্যবহার করুন। যে কোন পাবলিক নেটওয়ার্কে সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। নিজের পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন রাখতে হবে।

ভেরিফিকেশন সিস্টেম চালু: যে কোনো নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে ভেরিফিকেশন সিস্টেম বা ফায়ারওয়াল চালু রাখা জরুরি। পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটি সর্বদা একটি ভাল আইডিয়া।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.