দেশের আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে অবৈধ মোবাইল ফোন শনাক্তের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে এসব মোবাইল ফোন বৈধ করার সুযোগ দিতে সবার কাছে ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হচ্ছে।
মোবাইল ফোন, ফাইল ছবি
গত ১৭ জুন এমনটাই জানিয়েছে এই খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এ ক্ষেত্রে কারো মোবাইল ফোন বন্ধ বা যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হবে না উল্লেখ করে তারা জানায়, বিদেশ থেকে আনা সেটের বৈধ কাগজপত্র জমা দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
জানা গেছে, ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হচ্ছে আগামী ১ জুলাই থেকে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও সিম নম্বরের (এমএসআইএসডিএন) সঙ্গে ব্যবহৃত মোবাইলের আইএমইআই যুক্ত করতে হবে।
বিটিআরসির লোগো
বিটিআরসি জানিয়েছে, ওই দিন থেকে অবৈধ মোবাইল ফোন শনাক্ত করা হবে। তার আগে অর্থাৎ ৩০ জুনের মধ্যে মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা মোবাইল ফোনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। এর ফলে ১ জুলাই থেকে মোবাইল ফোনগুলো বন্ধ হচ্ছে না।
সূত্রমতে, ১ জুলাই থেকে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হওয়া নতুন মোবাইল ফোনগুলো এনইআইআর’র মাধ্যমে বৈধতা যাচাই করা হবে। এ ক্ষেত্রে বৈধ মোবাইলগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে।
এ ছাড়া অবৈধ মোবাইল ফোনগুলোর বিষয়ে এসএমএস’র মাধ্যমে জানানো হবে। এসব সেট নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকবে পরীক্ষাকালীন ৩ মাস। ওই সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করা না হলে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মোবাইল ফোন, ফাইল ছবি
এ বিষয়ে বিটিআরসির মিডিয়া উইংয়ের উপ-পরিচালক জাকির হোসেন খাঁন বলেন, এনইআইআর নিয়ে জানতে হলে হেল্প ডেস্ক নম্বর ১০০ নম্বরে কল করতে হবে। আরো জানা যাবে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটর কোম্পানির কাস্টমার কেয়ারের ১২১ নম্বরে কল করে।
এর আগে সংস্থাটির কমিশনার এ কে এম শহীদুজ্জামান জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে হ্যান্ডসেটের চাহিদা রয়েছে প্রায় ১৫ কোটি। এর মধ্যে ৪০ শতাংশই অবৈধভাবে বাজারে এসেছে।
জানা গেছে, বিভিন্নভাবে অবৈধভাবে দেশে আসা মোবাইল ফোনগুলো শনাক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে বিটিআরসি। এ জন্য ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার দেশে এটিই প্রথম।