দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। দুর্গম অঞ্চলে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন সম্ভব না হওয়ায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করছি, কথাগুলো বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ফাইল ছবি
আজ মঙ্গলবার (২৮ জুন), বিটিআরসি, এটুআই এবং এলায়েন্স ফর এফোর্ডেবল ইন্টারনেটের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কানেক্টিভিটি ফর এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন্স ফর ব্লেন্ডেড এডুকেশন বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২২ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা সবার মৌলিক অধিকার, এটি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের দায়িত্বও রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে ডিজিটাল সংযোগ ও মানসম্মত কনটেন্ট অপরিহার্য। ডিজিটাল কনটেন্ট মানে পাঠ্যসূচির পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করা নয়, কনটেন্ট অবশ্যই মানসম্মত হতে হবে।
তৃণমূল থেকে শুরু করে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠাকে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল শিক্ষার জন্য শিক্ষকদেরও ডিজিটাল উপযোগী দক্ষতা প্রদান করতে হবে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ডিজিটাল শিক্ষা প্রদানের উপযোগী করতে না পারলে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। ডিজিটাল শিক্ষা ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হবে না।
ফাইভজি সম্প্রসারণে মোবাইল অপারেটররা যাতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে সে জন্য বিটিআরসিকে উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশনাও দেন মন্ত্রী।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো: আবু বকর সিদ্দিক, এটুআই-এর সিনিয়র পলিসি এডভাইসার আনীর চৌধুরী এবং এলায়েন্স ফর এফোর্ডেবল ইন্টারনেটের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান অঞ্জু মঙ্গল ব্ক্তৃতা করেন।