শনিবার রাতে বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের ফেসবুক লাইভে অতিথি হয়ে এসেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এই আয়োজনে থাকার কথা ছিলো সাকিব আল হাসানেরও। কিন্তু সাকিব রাজি হননি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সরে গেছেন তিনি।

tamim iqbal and shakib al hasan having some bad time off the field

সাকিব এখন দেশের বাইরে আছেন। যুক্তরাষ্ট্রে দুই কন্যা ও পরিবারের সাথে সময় কাটাচ্ছেন। এই সময়ে তামিমের ফেসবুক লাইভে তার উপস্থিত না থাকা তেমন বড় ঘটনা হওয়ার কথা ছিলো না। এ ছাড়া কেউ যদি কারো সাথে কোনো আয়োজনে না থাকতে চান, এটা তার ব্যক্তিগত অধিকার- তা তিনি না-ই থাকতে পারেন।

কিন্তু বিষয়টা যখন ঘটলো তামিম ও সাকিবের মধ্যে, তখন তো বিস্মিত হতেই হয়। সাথে প্রশ্নও উঠতে বাধ্য। প্রশ্ন উঠেও যাচ্ছে— তামিম ও সাকিবের বন্ধুত্বে কি ফাটল ধরেছে?

এতোদিন পর্যন্ত এই কথা সর্বজনবিদিত ছিলো যে, ব্যক্তিগত জীবনে তামিম ও সাকিব পরস্পরের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু- বেস্ট ফ্রেন্ড। কিন্তু শনিবার রাতের আড্ডায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ যখন তামিমকে প্রশ্ন করলেন ব্যক্তিগত জীবনে তার প্রিয়তম বন্ধু কে— প্রত্যাশিত উত্তর ছিলো সাকিব আল হাসান। কিন্তু তামিম বিস্মিত করে দিয়ে বললেন তার প্রিয়তম বন্ধু মুশফিকুর রহিম।

মাহমুদুল্লাহ আবার বললেন যে, তামিমের জীবনে মাশরাফির অবদান অবিশ্বাস্য। তো তামিম যদি দেখেন যে একটি নৌকা ডুবে যাচ্ছে যেখানে মুশফিক ও মাশরাফি আছেন, তাহলে তিনি কাকে বাঁচাবেন। এই প্রশ্নটা কিছুটা ঘাবড়েই গেলেন তামিম। অবশ্য খুব বেশি সময় না নিয়েই তিনি উত্তর দিলেন- মুশফিককে বাঁচাবো।

এই স্বাভাবিক আলোচনায় সাকিবের উপস্থিতি টেনে আনা অপ্রাসঙ্গিক মনে হতে পারে, কিন্তু আসে কি অপ্রাসঙ্গিক? এই আড্ডায় সাকিবের না থাকা বিষয়ে তামিম বলেছেন যে, এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। সাকিব কেনো উপস্থিত থাকবেন না, তা নিয়ে তিনি কথা বলতে চান না বলেও মন্তব্য করেছেন।

অর্থাৎ তাদের স্বাভাবিক বন্ধুদের দাবি যেখানে ছিলো বিষয়টা পরিষ্কার করা, তামিম বা সাকিব, কেউ-ই কিন্তু তা করেননি। উল্টো তারা অত্যন্ত বেশি ‘ফরমাল’ হয়ে সামনে এনেছে ‘ব্যক্তিগত ব্যাপার’কে।

এর পেছনে অন্য কারণ খোঁজাও এখন স্বাভাবিক। যেমন এই বছরের শুরুতে মাশরাফি বিন মর্তুজা অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর নতুন অধিনায়ক হিসেবে মুশফিক, তামিম ও মাহমুদুল্লাহর নাম আসতে থাকে। সাকিবের নাম সেখানে আসেনি, কারণ আপাতত আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ তিনি। অক্টোবরে গিয়ে তার নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে।

সুতরাং অক্টোবরের আগে তো নয়ই, অক্টোবরের পরপরই কি সাকিবকে নেতৃত্ব দেওয়া ঠিক হবে? ক্রিকেটীয় শিষ্টাচারে একজন ক্রিকেটার, যে মাত্রই অত্যন্ত বাজে অভিযোগে এক বছর নিষিদ্ধ থাকার পর ফিরবেন, তাকে কি অধিনায়কত্ব দিবে কোনো বোর্ড? অবশ্যই দিবে না।

সাকিব সম্ভবত এই আশায় ছিলেন যে, আপাতত বোর্ড সীমিত সময়ের জন্য কাউকে অধিনায়ক বানাবে এবং তার নিষেধাজ্ঞা কেটে গেলে তিনি হবেন অধিনায়ক। বোর্ডও সম্ভবত সেভাবে চিন্তা করেই তামিমকে সীমিত সময়ের জন্য দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেছিলো। কিন্তু তামিম তাতে রাজি হননি। তিনি দীর্ঘ মেয়াদে নেতৃত্ব দিতে চেয়েছেন। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ আলোচনার পর বোর্ড এটাতেই রাজি হয়েছে।

সাকিব হয়তো এই বিষয়টি সহজভাবে নিতে পারেননি। যদিও এটি কেবলই অনুমান নির্ভর আলোচনা। কিন্তু পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে এই আলোচনা এখন উঠতে বাধ্য।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে পাকিস্তান সিরিজ স্থগিত হয়ে গেছে। আয়ারল্যান্ড সিরিজও পিছিয়ে গেছে একই কারণেই। ক্রিকেট আবার কবে মাঠে ফিরবে, তা নিয়ে সংশয় আছে। তবে এটা নিয়ে কোনো সংশয় নেই যে, ক্রিকেট ফেরার তামিম ইকবালের সামনে থাকবে অনেক অনেক চ্যালেঞ্জ।

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.