বোলারদের হয়ে ব্যাট চালালেন শচীন

করোনাভাইরাস মহামারি এখনো চলছে। কয়েকটি দেশে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অমনি বল মাঠে গড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৮ জুলাই ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট দিয়ে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।

তবে খেলা শুরুর সিদ্ধান্ত নিলেও সর্বোচ্চ সতর্ক আইসিসি। করোনা চলাকালীন ক্রিকেটের জন্য একগুচ্ছ নিয়ম নির্ধারণ করেছে তারা। ঝুঁকি কমাতে এবার পরামর্শ দিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। টেস্ট ক্রিকেটে প্রতি ৪৫-৫০ ওভার পরপর নতুন বল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় কিংবদন্তি।

আইসিসি ক্রিকেট কমিটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারতের সাবেক স্পিনার অনিল কুম্বলে। এই কমিটি কয়েকটি নিয়ম জারি করেছে। এর মধ্যে একটি ছিল বল পালিস করতে লালা ব্যবহার করতে পারবেন না বোলাররা। লালার পরিবর্তে ঘাম ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বোলারদের। এনিয়ে বিতর্ক চরমে।

লালা ব্যবহার না করে বল পালিস করার কাজটা কঠিন। তা ছাড়া সব কন্ডিশনে যে ঘাম ব্যবহার করা যাবে তাও কিন্তু নয়। তাই বোলারদের পক্ষে ব্যাট চালালেন শচীন। তিনি বলেছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে আপনি লালা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। অনেক সময় আপনি এমন আবহাওয়ার মধ্যে খেলেন সেখানে খুব বেশি ঘাম হবে না- বিশেষ করে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডে।’

এক্ষেত্রে আইসিসিকে একটা পরামর্শ দিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন পেসার ব্রেট লি। শচীনের ১০০ এমবি অ্যাপসকে লি বলেছেন, ‘শীতপ্রধান দেশগুলোতে এই নিয়মে বোলারদের কোনো লাভ হবে না। থুতু দিয়ে বল পালিস না করা গেলে এমন একটা কোনও পদার্থ বের করতে হবে যা ব্যবহার করার উপযাগী। তাতে বোলাররা খুশি হবেন, ব্যাটসম্যানরাও।’

শচীন নির্দিষ্ট করে বলেও দিয়েছেন, ‘প্রতি ইনিংসে ফিল্ডিং দলকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ওজনের মোম দেওয়া যেতে পারে। তাতে বল পালিস করতে পারবেন বোলাররা। টেস্ট ক্রিকেটে ৮০ ওভার পর নতুন বল আনা যায়। আমি বলব এখন ৪৫-৫০ ওভার পরপর নতুন বল ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে করে অনেকটা সময় নতুন বলের সুবিধা পাবেন পেসাররা।’

ব্রেট লি অবশ্য আগের নিয়মই বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছেন। কেন সেটা বিস্তারিত ব্যাখ্যা বলেছেন তিনি, ‘খেলা শুরুর আগে ক্রিকেটারদের পরীক্ষা করা হোক। ওরা তো নিরাপদেই থাকছে। যদিও পরীক্ষায় নেগেটিভ হন তাহলে সমস্যা কোথায়? সেক্ষেত্রে পুরনো নিয়মই বহাল রাখা যেতে পারে।’