তারকা সমৃদ্ধ দল জেমকন খুলনা ও তারুণ্যনির্ভর দল ফরচুন বরিশালের মধ্যে খুলনার জয় অনেকটাই অবধারিত ছিল। কিন্তু খেলাটা যে টি-টোয়েন্টি, তাই কখন কী হয় তা বলা যায় না। সাকিব-রিয়াদের খুলনা জয় পেয়েছে ঠিকই। তবে তাদের ঘাম ঝরিয়ে ছেড়েছে তামিম ইকবালের বরিশাল।
খুলনার জয়
ফরচুন বরিশালের ছুড়ে দেয়া ১৫৩ রানের জবাবে এক সময় খুলনার হার অনেকটাই নিশ্চিত বলে ধরে নিয়েছিল অনেকে। কিন্তু হার্ড-হিটার অলরাউন্ডার আরিফুল হকের শেষ মুহূর্তের ঝড়ে হাফ ছেড়ে বেঁচেছে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ফেবারিটের তকমা পেয়ে যাওয়া দলটি। ফলে এক বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রিয়াদ বাহিনী।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ও নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছে জেমকন খুলনা ও ফরচুন বরিশাল। খুলনার হয়ে মাঠে নেমেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৪০৯ দিন পর কোনো প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করলেন তিনি। এমনকি এই সময়ের মধ্যে কোনো প্র্যাকটিস ম্যাচও খেলেননি দেশের ক্রিকেটের এই সেরা তারকা।
এদিন বরিশালের হয়ে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামেন দলীয় অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু দলীয় রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান মিরাজ। তাকে ওভারের প্রথম বলেই কট এন্ড বোল্ড আউট করেন অভিজ্ঞ পেসার শফিউল ইসলাম।
নিজেকে জানান দিয়েছেন সাকিব
ওয়ানডাউনে নেমে তামিম ইকবালের সঙ্গে জুটি বাধার চেষ্টা করেন তরুণ পারভেজ হোসাইন ইমন। কিন্তু দলীয় ৩৮ রানের মাথায় ১৫ বল মোকাবেলায় ১৫ রান করে বরিশালের অধিনায়ক শাহিদুলের বলে ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। এরপর একাই লড়াই করেন ইমন। ৪২ বল মোকাবেলায় ৫১ রান করে আউট হওয়ার আগে দলের রান একটি সম্মানজনক স্থানে নিয়ে যান।
জেমকন খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন তরুণ শাহিদুল ইসলাম। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান খরচায় তিনি বরিশালকে অল্প রানে আটকে দিতে সহায়তা করেন। এ ছাড়া শফিউল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ নেন দুটি করে উইকেট এবং সাকিব আল হাসান শিকার করেন এক উইকেট।
১৫৩ রানের টার্গেটে জবাব দিতে নেমে শুরুতেই তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও এনামুল হক বিজয়কে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় খুলনা। এরপর সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন দীর্ঘদিন পর খেলতে নামা সাকিব আল হাসান ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু তারা দুজনও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। সাকিব ১৫ ও রিয়াদ ১৭ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন।
একটা সময় খুলনার হার অনেকটাই নিশ্চিত বলে ধরে নেয়া হচ্ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে আরিফুল হক ঝড়ে তামিম বাহিনীর আশা বিনষ্ট হয়ে যায়। ৩৩ বল মোকাবেলায় ৪২ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন খুলনার এই অলরাউন্ডার।