সবশেষ অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে তাদের মাটিতে নাকানিচুবানি খাওয়ার পর দল থেকে বাদ পড়েন জেমস অ্যান্ডরসন। এই পেসারকে ছাড়াই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যায় ইংল্যান্ড, যেটা মেনে নিতে পারেননি তিনি। তাই ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ৩৯ বছর বয়সী এই বোলার।
জেমস অ্যান্ডারসন
শুধু অ্যান্ডারসনই নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে স্টুয়ার্ট ব্রডকেও বাদ দেয় ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড, ইসিবি। দুই তারকা ক্রিকেটারকে বাদ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যর্থতার গ্লানি ঘোচাতে পারেনি জো রুটের দল। ক্রেইগ ব্রাথওয়েটের দলের কাছে ১-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হাতছাড়া করে সফরকারীরা।
এরপরই গুঞ্জন শুরু হয়, রুটের সাথে শত্রুতা থাকায় দলে জায়গা হয়নি অ্যান্ডারসনের। ক্যারিবিয়ান সফরে টেস্ট সিরিজ হারার পর ব্যর্থতার দায়ে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান রুট। এই তারকা ব্যাটারের স্থলাভিষিক্ত হন সিমিং অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। এছাড়া সাদা পোশাকের হেড কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি ক্রিকেটার এবং সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।
ক্রিকেট চালিয়ে যেতে চান অ্যান্ডারসন
লেস্টারে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি পেসার বলেন, ‘আমি আমার অবসর নিয়ে ভেবেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ থেকে বাদ পড়ার পর নিজেকে প্রশ্ন করলাম, চালিয়ে যেতে চাই কি না। যখন অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটে তখন আপনি অন্যান্য বিষয় নিয়ে ভাবা শুরু করবেন, এটাই স্বাভাবিক।’
পরবর্তীতে নিজের সিদ্ধান্ত পাল্টান অ্যান্ডারসন। তিনি মনে করেন, ক্রিকেটকে এখনও অনেক কিছু দেওয়ার আছে তার, ‘যত বেশি সময় যাবে, আমি তত বেশি খেলতে চাই। পরিবারের সাথে এটা নিয়ে কথা বলেছি। তারা আমার মতো করে ভেবেছে। ল্যাঙ্কাশায়ার বা ইংল্যান্ড যাই হোক না কেন ক্রিকেটকে দেওয়ার জন্য আমার কাছে এখনও অনেক কিছু আছে।’