নিজেদের প্রথম ইনিংসে এখন পর্যন্ত তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন ছাড়া কোন খারাপ সময় পার করেনি বাংলাদেশ। বাকি সেশনগুলোতে ব্যাট হাতে পূর্ণ আধিপত্য ধরে রেখেছে লাল সবুজের দল। তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়ের পর হাল ধরেছিলেন মুশফিকুর রহিম এবং লিটন কুমার দাস। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লিড পেয়েছে স্বাগতিক শিবির।
লাঞ্চের পর আউট হয়েছেন লিটন
গতকাল রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার কারণে চা বিরতির পর আর ব্যাটিংয়ে নামেননি তামিম। লিটনকে নিয়ে শেষ সেশনে ব্যাট করতে নামা মুশফিক দিনের বাকিটা সময় কাটিয়ে দিয়েছেন ভালোভাবেই। আজকের দিনের শুরুতে এই দুজন দারুণ ব্যাটিংশৈলী দেখিয়েছেন। তাদের জুটি গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সফরকারী দলের বোলারদের জন্য।
লিটনের সাথে পঞ্চম উইকেটে ৯৮ রানের জুটি গড়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেন মুশফিক। আজ ব্যাটিংয়ে নামার সময় তাদের নামের পাশে শোভা পাচ্ছিল যথাক্রমে ৫৪ এবং ৫৩ রান। প্রথম সেশনটা নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন তারা। কোন উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান যোগ করে যান মধ্যাহ্ন বিরতিতে।
পাঁচ হাজারি রানের ক্লাবে মুশফিক
তার আগে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে এই ফরম্যাটে পাঁচ হাজারি রানের ক্লাবে পৌঁছে যান মুশফিক। প্রথম সেশন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার থেকে প্রথম ইনিংসে ১২ রানে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই লিটন এবং তামিমকে হারায় বাংলাদেশ। এরপর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দিমুথ করুনারত্নেদের সংগ্রহকে ছাড়িয়ে যান মুশফিক।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ রানের পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে জয়কে নিয়ে দারুণ শুরু করেন তামিম। জয় ব্যক্তিগত ৫৮ রানে আউট হলে ভাঙে ১৬২ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর অল্প সময়ের ব্যবধানে নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুলরা ফিরে যান। মুশফিককে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন তামিম। রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার আগে ১৩৩ রান করেছিলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলপতি। ফিরে এসে আর কোনো রান যোগ করতে পারেননি তিনি।