ফরম্যাট যাই হোক মুশফিকুর রহিম রিভার্স সুইপ খেলবেনই। অপ্রথাগত হলেও এই শটই তার পছন্দের। অবশ্য এটা মানছেন যে, এই শটে ঝুঁকি অনেক। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অটল মুশফিক। চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেছেন অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যান।
রিভার্স সুইপ খেলছেন মুশফিক, ফাইল ছবি
আজ বুধবার সাগরিকায় অষ্টম সেঞ্চুরির ইনিংসে ১০৫ রান করেছেন মুশফিক। ২৮২ বলে মেরেছেন মাত্র ৪টি চার। বেশ শৃঙ্খলিত ইনিংস ছিল। আনাড়ি কোনো শট খেলেননি। বিশেষ করে রিভার্স সুইপ খেলতে দেখা যায়নি তাকে। যে শটের কারণে বহুবার তার সম্ভাবনায় ইনিংসের অপমৃত্যু ঘটেছিল।
কিন্তু মুশফিকের ইনিংসটার ইতি ঘটেছে সেই সুইপ শট খেলতে গিয়ে। এম্বুলদেনিয়ার বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি সুইপের চেষ্টা করেই। সংবাদ সম্মেলনে সেই প্রসঙ্গ উঠে আসতেই মুশফিক বলেছেন, ‘আমি তো ভেবেছিলাম প্রথম প্রশ্নই এটা হবে যে, সুইপ শট খেলে আউট হলেন (হাসি)।’
সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিক
তারপর তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক বলেন, ‘এটা ডিপেন্ড করে উইকেট কেমন তার ওপর। যেসব উইকেটে ডিফেন্স করে টিকতে পারবেন সেখানে তো আর অন্য শট খেলার কোনো প্রশ্নই উঠে না। আর আমি মনে করি এটা খুব ভালো উইকেট এবং ব্যাটিংবান্ধব। এখানে যদি ডিফেন্স ভালো করেন তাহলে স্ট্রেইট ব্যাটে ভালো খেলা যায়, অন্যান্য শট দরকার হয় না।’
নিজের দুটি ডাবল সেঞ্চুরিতে রিভার্স সুইপ খেলেছেন বলে সাংবাদিকদের মনে করিয়ে দেন মুশফিক। এবং ভবিষ্যতেও এই শট খেলবেন তিনি।
আজ ৩৫ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আর একটা জিনিস বলি, আমি কিন্তু আমার দুটি ডাবল সেঞ্চুরিতে রিভার্স শট সফলভাবে খেলেছি। এটা আমি একটু বলে রাখতে চাই। ওই দুটো ডাবল সেঞ্চুরির ভিডিও যদি কারও কাছে থাকে দেখবেন, ওই দুটো দুইশোতে তিন চারটা রিভার্স সুইপ করা আছে। নিশ্চিতভাবে আমি মনে করি এটা আমার খুব পছন্দের শট, একই সঙ্গে হাই রিস্ক শটও। তবুও আমি ভবিষ্যতে এই শট খেলা থেকে বিরত থাকব না।’
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই শট খেলে কয়েকবার আউট হয়েছেন মুশফিক। দলকেও ডুবিয়েছেন। তখনই সমালোচনা বেড়েছে তার এই শট নিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও ৫১ রান করে রিভার্স সুইপ খেলে আউট হয়েছেন তিনি।