সাগরিকার ব্যাটিং সহায়ক উইকেট দুই দলের ব্যাটসম্যানরাই উপভোগ করেছেন। সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। লিটন দাস, মাহমুদুল হাসান জয়, দিনেশ চান্দিমাল, দিমুথ করুনারত্নে, নিরোশান ডিকওয়েলা করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। এমন উইকেটেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ বাংলাদেশের অধিনায়ক মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
মুমিনুল হক
আজ বৃহস্পতিবার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে উঠে এসেছিল সেই প্রসঙ্গ। মুমিনুলের মতে, এক ম্যাচে দলের সবাই পারফর্ম করবে না। যারা রান পাবে, তাদেরই দায়িত্ব ইনিংস বড় করার। সবাই সেঞ্চুরি করলে রান হয়ে যাবে ১১০০।
মুমিনুল বলেন, ‘একটা টিমে তো ১১ জনের পারফর্ম করা কঠিন, তাই না। যদি ১১ জন একশো করে তাহলে তো রান ১১০০ হবে। আমার কাছে মনে হয়, ক্রিকেট খেলাটাই তো এরকম। দুজন পারফর্ম করবে কিংবা তিনজন। যারা রান পাবে তারা ইনিংসটাকে বড় করবে।’
বাংলাদেশের জন্য বড় দুশ্চিন্তা মুমিনুলের ব্যাটের রান খরা। চার নম্বরে রান পাচ্ছেন না তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর চট্টগ্রামেও ব্যর্থ এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। মাত্র ২ রান করে আউট হয়েছেন। যদিও এখন পর্যন্ত নাকি নিজের ফর্ম নিয়ে চিন্তিত নন তিনি।
বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘আমার ব্যাটিং নিয়ে আমি খুব বেশি চিন্তিত না। সত্যি কথা অত বেশি চিন্তিত না।’ সাগরিকার উইকেটে টিকে থাকা সহজ, রানও করা যাবে ধৈর্য নিয়ে, তবে বেশি মারতে গেলেই বিপদ হবে- এমনটাই মনে হয়েছে মুমিনুলের।
তিনি বলেছেন, ‘যদি পাঁচদিন খেলা দেখে থাকেন, ওদের ব্যাটিং এবং আমাদের ব্যাটিং দেখেন- বুঝতে পারবেন, এই উইকেটে টিকে থাকা যায়। কিন্তু যদি আপনি বেশি এক্সাইটেড হয়ে যান তাহলে উইকেট পড়ার সুযোগ থাকবে। যেটা আমার কাছে মনে হয়েছে।’
তবে চতুর্থ দিনে লাঞ্চের পরপরই লিটন আউট না হলে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করতে পারতো বাংলাদেশ। মুমিনুলও তাই মনে করেন। তিনি বলেন, ‘লিটন আউট না হলে হয়তো আমরা ওই সুযোগটা নিতে পারতাম, যেটা নিতে গিয়ে ওই সময়ে ২-৩ উইকেট পড়ে যায়।’
‘তামিম, সাকিব ভাই আউট হলো। লিটনও আউট হলো। লিটন যদি এক ঘণ্টা মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে খেলতে পারত তাহলে হয়তো অন্যরকম হতে পারত। চট্টগ্রামের এই উইকেটে এক নিতে পারেন। কিন্তু বেশি এক্সিলারেট করতে গেলে আউট হওয়ার সুযোগ বেশি থাকে।’