গতকাল দ্বিতীয় দিনের শুরুর মতো শেষটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ব্যাটে বলে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে দিনটা নিজেদের করে নেয় শ্রীলঙ্কা। আজকের সকালে দেখা গেল বিপরীত চিত্র। আগের দিনের হতাশা কাটিয়ে শুরুতেই উইকেটের সন্ধান পায় স্বাগতিকরা। এরপর ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস।
প্রথম সেশনে দুই উইকেট তুলে নেয় মুমিনুল হকের দল
প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান করে শ্রীলঙ্কা। দিমুথ করুনারত্নে ৭০ এবং কাসুন রাজিথা ০ রানে অপরাজিত ছিলেন। তৃতীয় দিনের শুরুতেই রাজিথাকে ফেরান এবাদত হোসেন চৌধুরী। ডানহাতি পেসারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে রানের খাতা খুলতে পারেননি রাজিথা।
সেঞ্চুরির স্বপ্ন নিয়ে এগোতে থাকা করুনারত্নেকে হতাশ করেন সাকিব আল হাসান। তারকা ক্রিকেটারের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে দ্বিতীয় দিনের স্কোরের সঙ্গে আর মাত্র ১০ রান যোগ করতে পেরেছেন লঙ্কান দলপতি। এরপর পঞ্চম উইকেটে ক্রিজে নিরবচ্ছিন্ন থেকে ৪৬ রান যোগ করেন ম্যাথুস ও ডি সিলভা।
উইকেটের জন্য আবেদন
২১০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশন শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের চেয়ে এখনও ১৫৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারীরা। ম্যাথুস ২৫ এবং ডি সিলভা ৩০ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে টস জেতা বাংলাদেশের শুরুটা হয় খুবই বাজে। দলীয় ২৪ রানেই প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারায় স্বাগতিকরা। অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা যখন উঁকি দিচ্ছিল, তখন লিটন কুমার দাসকে নিয়ে শক্ত হাতে প্রতিরোধ গড়েন মুশফিকুর রহিম। ষষ্ঠ উইকেটে এই দুইজনের ২৭২ রান টাইগারদের ম্যাচে ফেরায়।
দুজনই পেয়েছেন সেঞ্চুরি। ব্যক্তিগত ১৪১ রানে রাজিথার বলে কুশাল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দেন লিটন। সবচেয়ে বেশি আক্ষেপে পুড়েছেন মুশফিক। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরির কাছে ছিলেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। সঙ্গ না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ১৭৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক।