দিনের শুরুতেই দিমুথ করুনারত্নে এবং কাসুন রাজিথার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় সেশনে আধিপত্য দেখিয়েছে বৃষ্টি। এরপর দিনের শেষ সেশনটা নিজেদের করে নেয় সফরকারী দল। যেখানে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কেবল এক উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা
প্রথম ইনিংসে ২২২ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। হাতে ছিল ৮ উইকেট। এদিনের শুরুটা ভালো হয়নি সফরকারীদের। আগের দিনের শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নামা রাজিথা শুরুতেই বিদায় নেন। কোনো রান করতে পারেননি এই পেসার। ব্যক্তিগত ৮০ রানে সাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড হন অধিনায়ক।
অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কাকে পথ দেখান ধনঞ্জয়া ডি সিলভা এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। পঞ্চম উইকেটে এই দুজনের ৪৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটির পর বৃষ্টির কারণে পাঁচ বল আগেই প্রথম সেশনের খেলা শেষ হয়। ম্যাথুস ২৫ এবং ডি সিলভা ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন। টানা বৃৃষ্টি পড়তে থাকায় দ্বিতীয় সেশনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।
বৃৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয় দ্বিতীয় সেশনের খেলা
বৃষ্টি কমলে শেষ সেশনে ফের খেলা মাঠে গড়ায়। তখনও ব্যাট করতে নেমে দারুণ করছিলেন ম্যাথুস এবং ডি সিলভা। দুজনেই ফিফটি তুলে নেন। ব্যক্তিগত ৫৮ রানে সাকিবের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন ডি সিলভা। এরপর দিনেশ চান্দিমালকে নিয়ে দিনের বাকি সময় কাটিয়ে দেন ম্যাথুস। এই অলরাউন্ডার ৫৮ এবং চান্দিমাল ১০ রানে অপরাজিত আছেন। তৃতীয় দিনশেষে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান করেছে অতিথিরা।
এর আগে জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রানে থামে বাংলাদেশ। অথচ স্বাগতিকদের শুরুটা হয় খুবই বাজে। ২৪ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল মুমনিুল হক সৌরভরা। ষষ্ঠ উইকেটে মুশফিকুর রহিম এবং লিটন কুমার দাসের অনবদ্য ২৭২ রানের জুটিতে ভালো অবস্থানে পৌঁছায় টাইগাররা।
রাজিথার করা ইনিংসের ৯৩তম ওভারের প্রথম বলে লিটন কাটা পড়লে এই জুটি ভাঙে। তার আগে ১৪১ রান করেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। লিটনের বিদায়ের পর টেলএন্ডারদের কেউ মুশফিককে সঙ্গ দিতে পারেননি। সবাই আউট হওয়ায় এক প্রান্তে ১৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।