গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়ার শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। শেষদিনের নাটকীয়তায় সেরা চারে জায়গা করে নেয় ফাফ ডু প্লেসিরা। এরপর লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে ১৪ রানে হারিয়ে কোয়ালিফায়ারে পৌঁছে গেছে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত শিরোপার মুখ না দেখা দলটি।
কোয়ালিফায়ারে ব্যাঙ্গালুরুর প্রতিপক্ষ রাজস্থান
ব্যাঙ্গালুরুর জয়ের ভীত গড়ে দেয় ব্যাটসম্যানরাই। এলিমিনেটর ম্যাচে গতকাল কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ২০৭ রানের পুঁজি পায় ব্যাঙ্গালুরু। জবাব দিতে নেমে ১৯৩ রানের বেশি করতে পারেনি লোকেশ রাহুল অ্যান্ড কোং। ফাইনালে ওঠার মিশনে আগামীকাল রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্যাঙ্গালুরু। ভেন্যু আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম।
পাহাড়সহ পুঁজি পাওয়া ব্যাঙ্গালুরুর ইনিংসে অর্ধেকের বেশি অবদান রজত পাতিদার। দুর্দান্ত শতক হাঁকান এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান। ৫৪ বলে ১২ চার এবং ৭ ছয়ের সাহায্যে ১১২ রানে অপরাজিত ছিলেন রজত। ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও উঠেছে তার হাতে। এর আগে টস হারা ব্যাঙ্গালুরুর শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৪ রানেই বিদায় নেন ডু প্লেসি।
সেঞ্চুরি করেছেন রজত
কোন রান করতে পারেননি অধিনায়ক। অপর ওপেনার কোহলির ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। এক বল কম খেলে দুই বাউন্ডারি মারেন ভারতের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার এবং সাবেক অধিনায়ক। শেষদিকে লখনৌর বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দেন দিনেশ কার্তিক। ২৩ বল মোকাবেলা করা কার্তিকের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নামা লখনৌর শুরুটাও যুতসই হয়নি। ব্যক্তিগত ৬ রানেই ফিরে যান ওপেনার কুইন্টন ডি কক। টিকে গিয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি মনন ভোরা। ১৯ রানে জস হ্যাজলউডের বলে কাটা পড়েন তিনি। এরপর দীপক হুদাকে নিয়ে আস্কিং রান রেটের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যান রাহুল।
১৫তম ওভারে বিদায় নেন হুদা। ২৬ বলে ৪৫ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। এরপর মার্কাস স্টয়নিস, ক্রুনাল পান্ডিয়ারা চাহিদা মিটিয়ে ব্যাটিং করতে না পারায় লক্ষ্যের কাছে গিয়ে থামতে হয় লখনৌকে। শেষদিকে ব্যক্তিগত ৭৯ রানে হ্যাজলউডের বলে শাহবাজের হাতে ক্যাচ দেন রাহুল। দুশ্মন্ত চামিরার ৪ বলে ১১ রানের ইনিংস দলের হার এড়াতে পারেনি।