জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) বাংলাদেশের প্রধান প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। শুরুর লগ্নে এনসিএলে বিদেশি ক্রিকেটার খেলাতে পারতো প্রতিটি দল। একাদশে একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার ছিল দলগুলোতে।
মাঝে মাশরাফি
অনেক বছর ধরে সেই নিয়ম আর নেই। সম্প্রতি টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় মান সম্পন্ন বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনই বলেছিলেন, একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার জাতীয় লিগের প্রতিটি দলে খেলানো উচিত।
মঙ্গলবার বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও জাতীয় লিগ, বিসিএলে একজন করে বিদেশি খেলানোর পক্ষেই মত দিলেন।
নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘আপনার এই (বিদেশি ক্রিকেটারের) প্রস্তাব খারাপ না। আমাদের তো শেফিল্ড শিল্ড, কাউন্টি বা রঞ্জি ট্রফির মতো ঘরোয়া ক্রিকেট শক্ত হয়নি। সে ক্ষেত্রে শক্ত করার জন্য একজন বিদেশি থাকলে খারাপ হয় না। আপনি যেটা বললেন, কতটুকু এগিয়েছে? আমি মনে করি না পিছিয়েছে। তবে হ্যাঁ, এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তো আরও আছে।’
এনসিএল, বিসিএলে সাধারণত জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা খেলার সুযোগ পান না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকেন তারা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের অনুশীলন ছাড়াই তারা টেস্ট খেলছেন।
তারকা ক্রিকেটারদের এই অনুপস্থিতিকে সুযোগ হিসেবে দেখছেন মাশরাফি, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা ম্যাচ থাকায় না খেললে, এটাইতো খেলোয়াড় তৈরির জায়গা। আমাদের যারা লোকাল খেলছে তাদের মাঝ থেকেই তো খেলোয়াড় উঠে আসবে। জাতীয় দল জাতীয় দলের জায়গায় থাকবে। কিন্তু এই খেলাগুলো চলমান থাকলে দুই একজন ক্রিকেটার ওখান থেকে পাবেনই।’
তিনি আরও বলেন, ‘২-৩ মৌসুম পর ৮-১০ জন খেলোয়াড় বের করার চিন্তা করলে হবে না। ২-৩ মৌসুম পর যদি একজন সলিড খেলোয়াড় পান, যে কিনা আপনাকে ১৫ বছর সার্ভিস দিবে, আপনার ফোকাস থাকবে এ রকম। এগুলো ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আরও ১০০ বছর আগে করেছে। ভারত ৩০ বছর আগে করেছে এখন ফল পাচ্ছে। এখন আমরা শুরু করলে আমরাও পাব। আমাদের ভালো সম্ভাবনা আছে।’